পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি, চলো দুজনে মিলে একটা সেলফি তুলি’, এই বলেই স্বামীকে জড়িয়ে ধরে একটি গাছের সামনে নিয়ে যায় স্ত্রী। সেলফির অজুহাতে স্বামীকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধেও ফেলেও স্ত্রী। তখনও স্ত্রী’র ভালোবাসার ছলনায় নির্বিকার স্বামী।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরের ভিতর থেকে আমি একটু আসছি বলে ভিতরে চলে যান স্ত্রী। আর ঘরের থেকে বাইরে আসেন কেরোসিনের বোতল হাতে নিয়ে। গাছে বাঁধা স্বামীর সারা শরীরে কেরোসিন ছড়িয়ে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় স্ত্রী। স্বামীর চিৎকারে পড়শিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে স্বামী শম্ভু কুমারের। অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিহারের মুজফফরপুরের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২২ বছরের স্ত্রীয়ের নাম ছোটি কুমারী। ভালোবাসার কথায় ভুলিয়ে স্বামীর গায়ে আগুন ধরিয়ে তাকে খুন করতে চেয়েছিল ছোটি। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় শম্ভু কুমারকে শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, স্বামীকে পছন্দ করতেন না স্ত্রী ছোটি কুমারী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। শম্ভু কুমার দিল্লির একটি বেসরকারি কোম্পানিতে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করেন। সাহেবগঞ্জ থানার স্টেশন হাউস অফিসার রাজেশ কুমার জানান, শম্ভু কুমার তার স্ত্রী ছোটি কুমারীর নামে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এক বছর আগে ছোটি কুমারীর সঙ্গে বিয়ে হয় শম্ভু কুমারের। ছোটি খুব সুন্দরী মহিলা, কিন্তু শম্ভু কুমার নিরীহ প্রকৃতির, সেই সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আটকে (তোতলা) যায় তার। তোতলা স্বামীকে পছন্দ ছিল না ছোটি কুমারীর। বিয়ের পর থেকেই বাড়িতে তুমুল অশান্তি করত ছোটি।
শম্ভু কুমারের বয়ান অনুযায়ী ঘটনার দিন তার স্ত্রী ছোটি তার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করেন। সেই ভালোবাসার অজুহাত দেখিয়েই তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে খুন করতে চেয়েছিল। পাড়া পড়শিরা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। শম্ভুকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছেন দুই প্রতিবেশী।