পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রকে তোপ মমতার। ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছে না মানুষ। কারণ কেন্দ্র ডিসেম্বর থেকে টাকা দিচ্ছে না। আমাদের থেকে টাকা তুলে নিয়ে গিয়ে, সেখান থেকেও রাজ্যের প্রাপ্য আটকে রয়েছে। বকেয়ার জন্য কর্মীদের টাকা দিতে অসুবিধা হচ্ছে। পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে, ওষুধের দাম বেড়েছে, ১০০ দিনের কাজে টাকা নেই। গরিব মানুষ খাবে কী?
মমতা বলেন, ‘অন্য প্রকল্প থেকে বরাদ্দ নিয়ে ফান্ড তৈরি করতে হবে। এই ফান্ড তৈরির দায়িত্বে মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদীকে ব্যবস্থার কথা ভাবতে হবে। ৪টি দফতর এই ফান্ড তৈরি দায়িত্বে থাকবে।’
এদিন তিনি কড়া ভাষায় বলেন, ‘গড়বেতায় কেন পঞ্চায়েতের কাজ হচ্ছে না কেন? উন্নয়নের কাজ শেষ করতে হবে। যে কাজ করতে বলা হবে, সেটাই করতে হবে। PWD’ এত খাঁই কিসের? PWD দিয়ে সব কাজ করাতে হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন খড়্গপুর থানার আইসিকে বলেন, সমস্ত দিকে ভালোভাবে নজরদারি চালাতে হবে। এলাকায় ভ্যান নিয়ে টহলদারি ও নাকাচেকিংয়ের নির্দেশ দেন তিনি। আইসি জানান, এলাকায় ১০৪টি সিসিটিভি রয়েছে। সেগুলো অ্যাক্টিভ কিনা সেগুলি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি প্রয়োজনে আরও সিসি ক্যামেরা দেওয়া হবে বলেও জানান মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বেশি নজর রাখতে হবে। বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ট্রেনেও আসছে, দু’হাজার টাকা দিয়ে বন্দুক কিনে হামলা হচ্ছে এই রাজ্যে। ট্রেনেও নজরদারি বাড়াতে হবে।
আজ থেকে মেদিনীপুর সহ চারদিনের ঝাড়্গ্রাম সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড় বছর আগে শেষবার মেদিনীপুরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের পরে মেদিনীপুর শহরে উপস্থিত এলেন তিনি। ১৭ এবং ১৮ মে দু’দিনের মেদিনীপুর সফর। যার প্রথম দিন প্রশাসনিক বৈঠক, পরদিন প্রকাশ্য কর্মিসভা মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রথম প্রকাশ্য কর্মী সম্মেলন বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের। এই সফরে প্রশাসনিক সভা থেকে ১৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৮৬টি প্রকল্পের শিলন্যাস করবেন। সব থেকে বড় উপহার পশ্চিম মেদিনীপুরে পর্যটনে নতুন একাধিক উদ্বোধন।