পুবের কলম প্রতিবেদক: মৃত্যুর পর সকলেই চান তাঁর শেষকৃত্য যাতে মর্যাদা ও নিজ নিজ ধর্মের বিশ্বাস মতে পবিত্রতার সঙ্গে হয়। আর তাই শ্মশান বা কবরস্থানকে মর্যাদার সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। নির্দিষ্ট রীতি মেনেই দেখভাল করা হয় সেই স্থানগুলি। তার জন্য রয়েছে কমিটি। জেলায় জেলায় হাজার হাজার কবরস্থান বা শ্মশান পরিচালিত হয় সরকারের ঠিক করে দেওয়া কমিটি বা কর্মীর মাধ্যমে।
সংশ্লিষ্ট ধর্মের মানুষদেরই এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে, যাতে ধর্মীয় পবিত্রতা ও রীতি সঠিকভাবে পালিত হয়। এবার কী এই নিয়মের পরিবর্তন হতে চলেছে? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কলকাতা মধ্যে থাকা মুসলিম কবরস্থানগুলির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের মধ্যে।
সূত্রের খবর, মুসলিম কবরস্থান দেখভাল করার জন্য কমিটি রয়েছে। তারা কেন্দ্রীয়ভাবে কবরস্থানের ‘খিদমত’ করেন।
বিশেষ করে পানি ও ওযুর জায়গা মেরামত করা, আলোর বন্দোবস্ত করা, কোথাও মাটি ভরাট করতে হলে তা দেখার মতো কাজ করে থাকে ওই কমিটি। সেই কাজ নাকি এবার থেকে কলকাতা পুরনিগমের বোরো অফিস থেকে করা হবে। কিন্তু ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষা হবে কিভাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
সূত্রের খবর, পুরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তিনি ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির কাজ বোরো অফিসের মাধ্যমেই করা হবে। এ নিয়ে ডেপুটি মেয়র তথা বিধায়ক অতীন ঘোষ পুবের কলম প্রতিবেদককে জানান, পুরনিগমের মাধ্যমেই সব কাজ হবে। কমিটির আর প্রয়োজনীয়তা নেই। সরাসরি বোরো অফিস থেকেই কাজ হবে। তাঁর কথায়, আমারাই তো সব কাজ করি, আমরাই করব। কমিটির কী দরকার আছে!’
অন্যদিকে, ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুব্রত রায়চৌধুরি। তিনি বলেন, আমি কিছুই জানি না।
অনেকেই বলছেন, কবরস্থানের সঙ্গে ধর্মীয় পবিত্রতার সম্পর্ক রয়েছে। তারা পুরনিগমের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে কলকাতা বা তার বাইরে থাকা বেদখল হওয়া কবরস্থান রক্ষা করতে বড় ভূমিকা পালন করেছে এই কমিটি। ঝগড়া-বিবাদ ছাড়াই অনেক সমস্যা সমাধান করে তারা। তাই কমিটির ক্ষমতা খর্ব করা উচিত নয়।