পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার বানারহাট ব্লকের ডায়ানা সেতু সংলগ্ন এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির ধন্যবাদ জ্ঞাপনের ফলক বসানো কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে দুই ব্লকের বিবাদ।
বানারহাট ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও বিডিও সহ তৃনমূল নেতাদের দাবি, ডায়না নদীর শেষ প্রান্ত পঞ্চায়েত সমিতির গঠনের সময় থেকে ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ছিলো। বর্তমানে সেই এলাকাটি বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির অধীনস্থ।
সেই এলাকার একটা বড় অংশ নতুন করে নাগরাকাটার ব্লকের অংশ বলে দাবি করতে শুরু করেছে সেখানকার ব্লক প্রশাসন। তাই আটকে দেওয়া হয় বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে নির্মাণ করতে যাওয়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা সীমানা ফলকের কাজ। সেই খবর বানারহাট ব্লকের প্রশাসনের কর্তাদের কাছে পৌঁছাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি , বিডিও , সহ তৃণমূল নেতারা।
বরাত পাওয়া ঠিকাদারের কাজ থেকে কাজ আটকে দেওয়ার বিষয় জানতে পেরে রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী সহ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সাগর গুরুং। ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয় নাগরাকাটার বিডিও এবং ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে। তারা ঘটনাস্থলে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। রীতিমত বিডিও এবং বিএলআরওর কাছে কারণ জানতে চান কাজ আটকানোর। এরপরেই শুরু হয় উচ্চবাক্য বিনিময়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে নাগরা কাটা তৃণমূলের ব্লকে সভাপতি সঞ্জয় কুজুর। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরিষ্কার জানিয়ে দেন যুগ যুগ ধরে এই এলাকা ধূপগুড়ি ব্লকের অধীনে ছিলো,বর্তমানে যা বানারহাট ব্লকের অধীনে তাই এই জমি কোনোমতেই তারা ছাড়বেন না।
বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সীমা চৌধুরী জানান, পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু পর থেকে ডায়নার এই পাশ পর্যন্ত ধুপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত ছিল। সেই ধুপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড এখন রয়েছে। ধুপগুড়ি ব্লক ভেংগে বানারহাট ব্লক হলে সেই সীমানা বানারহাটের থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। এখানে বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতি ফলক লাগাতে আসলে হঠাৎ নাগরাকাটা ব্লক নিজেদের এলাকা বলে বাধা দেয়। এটা আমরা কিছুতেই মানবো না। আজ এই নিয়ে দুই ব্লকের আধিকারিকরা এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বানারহাটের প্রশাসন অবাক হয়ে যাচ্ছি নাগরাকাটা ব্লকের দাবি শুনে।
নাগরাকাটার বিডিও বিপুল কুমার মন্ডল জানান, আমি বিষয়টি শুনে এসেছি। যা বলার ভুমি দপ্তর বলতে পারবে বলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।