পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কবে আসবে বর্ষা! এখন সেই প্রশ্নই ইতিউতি ঘোরাঘুরি করছে রাজ্যবাসীর মনে। কারণ তাপমাত্রা কমার কোনও নামগন্ধ নেই, তীব্র দহনে হাঁসফাঁস অবস্থা কলকাতানগরীর। এদিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও দক্ষিণবঙ্গেও ভাগ্যে কিছুও জুটছে না।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বৃহস্পতি ও শুক্রবার উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। পার্বত্য এলাকায় ধস আর নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের মালদায় মৌসুমী অক্ষরেখা থমকে আছে। ফলে বর্ষার বৃষ্টি সেখানেই আটকে গেছে। দক্ষিণবঙ্গে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি ও তাপপ্রবাহ বজায় থাকবে। অর্থাৎ অস্বস্তিকর পরিবেশের হাত থেকে রেহাইয়ের কোনও আশার আলো দেখাতে পারছেন না আবহবিদেরা। তবে রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৮ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে ফের সক্রিয় হতে পারে মৌসুমী বায়ু এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
জলপাইগুড়িতে মৌসুমী বায়ু বা বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক দিন ৭ জুন। বাংলায় এবার পাঁচ দিন দেরিতে বর্ষার আগমন। উত্তরবঙ্গে আজ ও কাল ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরবঙ্গের সব জেলাতে ১৭ জুন শনিবার পর্যন্ত। শনিবার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ও তীব্রতা কমবে উত্তরবঙ্গে। তবে পার্বত্য পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি চলবে।
গুজরাত উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে বিপর্যয়। আজই সন্ধ্যায় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর গতিবেগ থাকবে সর্বোচ্চ ঘন্টায় ১৫০ কিলোমিটার। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় উত্তর দিকে অভিমুখ ছিল, বৃহস্পতিবার সকালে সেটি অভিমুখ পরিবর্তন করে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে আরব সাগরে। বাংলাদেশের দেওয়া নাম ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় পাকিস্তান ও ভারতবর্ষের মাঝামাঝি উপকূলে আছড়ে পড়বে। গুজরাতের জাকাও বন্দরের কাছাকাছি এটি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। এর ফলে গুজরাতের মান্ডভি, জামনগর, পোরবন্দর, সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ৭৪ হাজার মানুষকে অস্থায়ী ক্যাম্প করে সরানো হয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। রবিবার তাপপ্রবাহ থাকবে পুরুলিয়, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। বাকি জেলাতেও অস্বস্তিকর আবহাওয়া গরম বাড়বে। বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে।
বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ও বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমান জেলাতে। শুক্রবার ও শনিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলাতে। কলকাতায় অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে।