পারিজাত মোল্লা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে টেট পাসের নির্ধারিত নাম্বার নিয়ে দেখা গেল দুই বিচারপতির মতবিরোধ। টেট পাসের জন্য প্রয়োজনীয় নম্বর কত হবে? তা নিয়ে মতভেদ কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির মধ্যে। এর ফলে মামলা চলে গেল তৃতীয় বিচারপতির বেঞ্চে। এখন তৃতীয় বিচারপতির বেঞ্চ নির্দিষ্ট করবেন প্রধান বিচারপতি।
সেখানেই এই মামলার শুনানি হবে ।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১৪ ও ২০১৭ টেট উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য সংরক্ষিত ক্যাটাগরির পড়ুয়াদের নম্বর পেতে হবে ৮৩। কিন্তু ৮২ পেলেই টেট পাস করবেন পড়ুয়ারা, এমনই রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। টেট পাসের ক্ষেত্রে সংরক্ষিত আসনে ৫৫ শতাংশ নম্বর ধার্য ছিল। দেড়শোতে পরীক্ষা। সেই হিসেবে সাড়ে ৮২ পেলে পাস । কিন্তু ৮২ পেলেই পাস হিসেবে ধরতে হবে বলে সিঙ্গেল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ ও এনসিটি-র রিপোর্ট উল্লেখ করে এই রায় দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সেই সিদ্বান্ত মেনে নেয়। গত বছর ৩ নভেম্বর সিঙ্গেল বেঞ্চ রায় দেওয়ার পর প্রায় ১০ হাজার প্রার্থী ইতিমধ্যে ৮২ পেয়ে ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউতে অংশ নিয়েছেন ।কিন্তু বেশ কিছু প্রার্থী ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন । তাঁদের দাবি -‘ ৮২ পেলে পাস করানো যাবে না’ । এদিন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এক বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় সঠিক বলে মত দেন । কিন্তু বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যর দাবি, যেহেতু ৮২.৫ পাস মার্ক । তাই সেটা ৮৩ হতে পারে, কমতে পারে না । এই মতভেদের কারণে এই মামলা এবার যাবে তৃতীয় বেঞ্চে । এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কোন বেঞ্চে পাঠান এই মামলা?