পারিজাত মোল্লা: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এক শিক্ষাবন্ধুর ভোটে দাঁড়ানোর আর্জি নিয়ে শুনানি চলে। শিক্ষাবন্ধুদের ভোটে লড়ার অনুমতির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে । এদিন সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ওই শিক্ষাবন্ধুকে ভোটে না লড়ে শিক্ষকতা করার পরামর্শ দিয়েছে ।
এদিন বিচারপতি বলেন, ”মাস্টারমশাই নির্বাচনে লড়ে কী করবেন ! শিক্ষকতার মতো মহান চাকরিতে আছেন ? সেটাই করুন ।”রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে -‘ শিক্ষাবন্ধুরা এবার পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারবেন না’ ।
এই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক শিক্ষাবন্ধু । সেই মামলার শুনানিতে ওই মামলাকারী শিক্ষাবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ।মামলাকারীর দাবি, -‘ পার্শ্বশিক্ষকরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে, কেন শিক্ষাবন্ধুরা পারবেন না ? এই নিয়ে বুধবার চারটের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কৈফিয়ত তলব করেছেন বিচারপতি ।
যেহেতু আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন, তাই বুধবারই উত্তর দিতে হবে বলে জানান বিচারপতি ।গত বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । সেই ঘোষণা হওয়ার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে । সেখানে জানানো হয়, -‘কারা কারা ভোটে লড়তে পারবেন না ।
সেখানেই রেশন ডিলার, হোমগার্ড-সহ অন্যান্য অনেক পেশার কথা উল্লেখ করা হয়, যে পেশায় যুক্তরা ভোটে লড়তে পারবেন না বলে জানানো হয়’ । সেখানেই শিক্ষাবন্ধুরা ভোটে লড়তে পারবে না বলে জানানো হয় কমিশনের তরফে । কিন্তু ৩১ মে আবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । সেখানে তাদের তরফে জানানো হয় যে পার্শ্বশিক্ষকরা ভোটে লড়তে পারবেন ।সেই নিয়েই দায়ের হয়েছে মামলা । আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।