পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পশ্চিমা বিশ্বের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইয়েমেনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন আনসারুল্লাহর প্রধান নেতা আবদুল-মালিক আল-হুথি। মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে কিছু পশ্চিমা দেশের চক্রান্ত, যেমন আমেরিকা ও ব্রিটেন দ্বারা মুসলিম বিশ্বের ক্ষতি সাধানের চেষ্টার নিন্দা জানান তিনি। হুথি বলেন, যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের কথা বলে পশ্চিমারা মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতে দখলদারি শুরু করেছে, তৈরি করেছে উপনিবেশ।
আনসারুল্লাহ নেতার কথায়, ২০০১ সালে আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকেই আমেরিকা অভিযান শুরু করেছে। হুথির অভিযোগ, বারংবার সন্ত্রাস দমনের কথা বলে মুসলিম রাষ্ট্রগুলি কবজা করার নীতি নিয়েছে পশ্চিমারা। এভাবে তারা মুসলিম বিশ্বের সম্পদ ধ্বংস করছে। হুথির কথায়, ‘এ ধরনের চক্রান্ত করে পশ্চিমারা মুসলিম ও তাদের ধর্মীয় পরিচয়কে টার্গেট করেছে।’ তাঁর মতে, শত্রুরা বিভিন্ন কৌশলে মুসলিম উম্মাহকে দমিয়ে রাখতে চায়। আরও বলেন, ‘৯ ১১ হামলার পর আমেরিকানরা একটি আন্তর্জাতিক জোট তৈরি করে ও মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করে মিডিয়ায়।
এটা খুবই দু:খজনক যে সেসময় আরব দুনিয়ার কিছু মিডিয়াও আমেরিকার প্রচারকে সমর্থন করে। পশ্চিমাদের সেই প্রচারের উদ্দেশ্য ছিল মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর মনে আতঙ্ক ভরে দেওয়া ও আমাদের ভূমিতে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।’ আল-হুথি আফসোসের সুরে বলেন, আমেরিকার প্রতি আরব বিশ্বের কিছু নেতা তোষণের নীতি গ্রহণ করেছিল। তারা আমেরিকাকে সবকিছু করার অনুমতি দিয়েছিল।
তাঁর কথায়, ‘আমাদের মাঝে থাকা কিছু মানুষ আমাদের শত্রুদেরই আমাদের মিত্র হিসাবে দেখাতে চায়। কিছু সরকার ও দেশ আমেরিকার সমর্থন চায়। তারা আমেরিকার সমর্থন পেতে সবকিছু দিতে তৈরি।’ আনসারুল্লাহ প্রধান বলেন, ‘ওয়াশিংটনকে হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা তাড়া করে কিছু আরব নেতাকে। কিছু আরব দেশে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আন্দোলনকে কোনও দ্বিধা ছাড়াই দমিয়ে দেওয়া হয়।’