নয়াদিল্লি, ১৫ এপ্রিল: বিচারবিভাগকে দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন দেশের প্রাক্তন বিচারপতিরা। যা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। বিচারবিভাগকে রক্ষা করার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে খোলা চিঠি দিলেন দেশের ২১ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা। প্রাক্তন বিচারপতিদের অভিযোগ, “সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ, ব্যক্তিগত লাভের কারণে বিচারব্যবস্থার উপর জনগণের আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দীপক ভার্মা, কৃষ্ণ মুরারী, দীনেশ মহেশ্বরী এবং এমআর শাহ সহ সকলেই আদালত এবং বিচারকদের সততাকে বিভ্রান্ত করছে বলে সরব হয়েছেন। বিচার প্রক্রিয়াগুলিকে প্রভাবিত করার সুস্পষ্ট প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের। ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “নির্দিষ্ট কিছু চাপ, ভুল তথ্য এবং জনসমক্ষে অবজ্ঞার মাধ্যমে বিচার বিভাগকে দুর্বল করার জন্য একটা গোষ্ঠী চাপ সৃষ্টি করছে৷ এহেন ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র আমাদের বিচার বিভাগের পবিত্রতাকে অসম্মান করে না, বরং ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতার নীতির প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছে৷”
21 Retired Judges write to Chief Justice of India (CJI) Dy Chandrachud
"We write to express our shared concern regarding the escalating attempts by certain factions to undermine the judiciary through calculated pressure, misinformation, and public disparagement. It has come to… pic.twitter.com/bPZ0deczI2
— ANI (@ANI) April 15, 2024
এমন পরিস্থিতিতে বিচারবিভাগকে রক্ষা করা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন বিভিন্ন হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিরা। চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, “সুপ্রিমকোর্টের নেতৃত্বে বিচার বিভাগকে এই ধরনের চাপের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হওয়া এবং আইনি ব্যবস্থার পবিত্রতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা দরকার।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ মার্চ, বিচার বিভাগকে চাপে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন দেশের আইনজীবী মহল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি দিয়েছিলেন গোটা দেশের ৬০০ আইনজীবী। এদের মধ্যে ছিলেন প্রবীণ আইনজীবী হরিষ সালভে এবং পিঙ্কি আনন্দ। অভিযোগ করে আইনজীবীরা চিঠিতে লিখেছিলেন, গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং বিচার প্রক্রিয়ার উপর যে আস্থা রয়েছে একাধিক পদক্ষেপে তা ভাঙার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এক স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী প্রচার চালাচ্ছে যে বিচার বিভাগের সোনালি অধ্যয় শেষ হয়েছে, বর্তমানে তা দুর্বল থেকে দুর্বলতর। এদের উদ্দেশ্যই হল আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট করা। এদিকে, লোকসভা ভোটের আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লেখা গোটা দেশের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের এমন চিঠি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।