পুবের কলম প্রতিবেদক: এপ্রিল মাসের প্রথম থেকেই হাইস্কুলগুলিতে ক্লাস-সামেটিভ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। শেষ হবে ৮ এপ্রিল। আবার প্রাথমিকের সামেটিভ পরীক্ষা শুরু ১৫ এপ্রিল থেকে। আর তার ঠিক আগের মুহূর্তে শিক্ষকদের ভোট প্রশিক্ষণ শুরু হল। কিছু কিছু স্কুলে একই তারিখে সিংহভাগ শিক্ষকদের ট্রেনিং থাকার কারণে পরীক্ষা স্থগিত রেখে ভোট-প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আর এতেই ক্ষোভ দেখা গিয়েছে অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে। ভোট প্রশিক্ষণের জন্য যে দিন ধার্য করা হয়েছে, তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, ‘অনেক আগে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এখনও ভোটের অনেক সময় বাকি। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা এবং ছুটির দিনগুলির বিষয় মাথায় রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছি।’
ভোট প্রশিক্ষণের শিডিউল নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, নির্বাচন এ’নও বাকী। সব দফার নির্বাচন শুরু ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ২৫ মে। এপ্রিল স্কুলে পরীক্ষা রয়েছে। তাছাড়া ছুটির দিনেও ভোট প্রশিক্ষণের দিন ফেলা হয়েছে। এই সব নিয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষকদের একাংশ। বেশ কয়েকটি জেলায় প্রশিক্ষণের দিন হিসেবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহটিকে ধার্য করা হয়েছে। ফলে সেখানকার শিক্ষকরাও এই সমস্যার অভিযোগ তুলেছেন।
এ নিয়ে শিক্ষক নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশকা অনুযায়ী এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে ßুñলের প্রথম পার্বিক মূল্যায়ণ করতে হবে। কিন্তু এই সময় রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ভোট কর্মীদের মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এমনিতেই স্কুলগুলিতে বহু শিক্ষকপদ শূন্য এই পরিস্থিতে ট্রেনিং করানোর হলে পরীক্ষায় সমস্যা হবে। আমরা অবিলম্বে এই ট্রেনিং সিডিউলের পরিবর্তন চাইছি। ’
প্রশিক্ষণের দিনক্ষণ বদলের দাবি জানিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্যরা সরব হয়েছেন। তবে জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক প্রশাসনিক আধিকারিক জানিয়েছেন. ‘নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়েই দিনক্ষণ ঠিক করা হয়েছে। সবটাই জানে কমিশন।’