পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইতালিতে আয়োজিত হল সাধারণ নির্বাচন। রবিবারের নির্বাচনে ইতালির লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ১১ পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। চলমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হচ্ছে। জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে জয়ী হতে পারে ডানপন্থীরা। জানা গেছে, নব্য ফ্যাসিবাদী দল ব্রাদার্স অব ইতালির প্রধান জর্জিয়া মেলোনি এগিয়ে রয়েছেন নির্বাচনী দৌড়ে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জিউসেপ কন্তে এই ভোটকে ‘ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেছেন। কিন্তু কী হবে এবারের নির্বাচনে? কে হবেন ইতালির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? বিশ্লেষকরা বলছেন, ডানপন্থীদের ঐক্যের কারণে তাদেরই সরকার গঠনের সম্ভাবনা প্রবল। ফলে এই ভোট নিয়ে অভিবাসীরা গভীর উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন, ডানপন্থীরা এমনিতেই বিদেশিদের পছন্দ করেনা। তাই ডানপন্থীরা ক্ষমতায় এলে বর্ণবাদীরা গর্জে উঠবে। পাশাপাশি বিদেশিদের জন্য আইন আরও কঠোর করবে।
ব্রাদার্স অব ইতালির ৪৫ বছর বয়সী নেত্রী জর্জিয়া মেলোনি ২০১৮ সালে মাত্র ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। তবে এবার জয়ী হলে মাত্তেও সালভিনির লিগ এবং সিলভিও বেরলুসকোনির ফোরজা ইতালিয়াকে নিয়ে ডানপন্থী সরকার গঠন করতে পারে ব্রাদার্স অব ইতালি এবং জর্জিয়া মেলোনি হতে পারেন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। ইউরোপ ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের জন্য এই নির্বাচনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও ভোটাররা জ্বালানির মূল্য সাশ্রয়ের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
এদিকে, মেলোনির মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্য-বাম ডেমোক্র্যাট পার্টির নেতা এনরিকো লেত্তা বলেছেন, ‘জর্জিয়া মেলোনি জয়ী হলে যারা খুশি হবেন, তারা হলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউরোপের ভিক্টর অরবান।’ ইতালির রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ইতিহাস রয়েছে। দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ৬৮তম সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। এবারের নির্বাচনে নারী ভোটার শতকরা ৫১.৭৪ ভাগ এবং পুরুষ ভোটার ৪৮.২৬ ভাগ।