দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন : নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে জবরদখলকারি হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁর অধিকৃত তেরো ডেসিম্যাল জায়গা বিশ্বভারতীকে হস্তান্তর করতে চিঠি পাঠালো বিশ্বভারতীর এস্টেট অফিসের জয়েন্ট রেজিস্ট্রার। আর তাতেই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন সময়ে বিজেপি তথা কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কি উপাচার্যর এই চিঠি? এটাকে অনেকেই নোবেলজয়ীকে ঘোরতর অসম্মান বলে মনে করছেন অনেকেই।
ওই চিঠিতে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে জানানো হয়েছে যে, তিনি বিশ্বভারতীর শ্রীপল্লীর সুরুল মৌজার অনুনোমোদিত তেরো ডেসিম্যাল জায়গা অধিকার করে রেখেছেন। উনিশ শো তেতাল্লিশ সালের সাতাশে অক্টোবর অমর্ত্য সেনের বাবা আশুতোষ সেনকে মোট একশো পঁচিশ ডেসিম্যাল জায়গা লিজে দেয় বিশ্বভারতী। সেই জায়গার অতিরিক্ত এই তেরো ডেসিম্যাল জায়গা অধিকার করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন বলে দাবি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। এই জমি দ্রুত হস্তান্তর করার পাশাপাশি, যুগ্মভাবে সার্ভে করার ক্ষেত্রে অমর্ত্য সেন তাঁর নিজস্ব সার্ভেয়র বা আইনজীবী রাখতে পারেন বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে এখনো পর্যন্ত অমর্ত্য সেনের তরফ থেকে কিছু জানো হয় নি।
বিশ্ব ভারতীর প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজ কলি সেন অবশ্য বলেন, বর্তমান উপাচার্যর একটির পর একটি খেলনা দরকার। উনি চুপচাপ থাকতেই পারেন না। উনি এখানে আছেন। যা বলার বলবেন। তবে প্রথমেই এটা পরিষ্কার হওয়া দরকার, প্রতীচি বাড়ি জায়গা অমর্ত্য সেন কেনেন নি। কেনেন তাঁর পিতা আশুতোষ সেন। পাশের জমিটি কেনেন অমর্ত্য সেনের দাদু ক্ষিতি মোহন সেন।