পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতা! বিবাদের জেরে সহপাঠীদের হাতেই দশমশ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাফিলতির অভিযোগে খেরি থানার ইনচার্জ ও ফাঁড়ির ইনচার্জকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বার বারই বিভিন্ন ঘটনার কারণে সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। কখনও গো-রক্ষার নামে খুনিবাহিনীদের তাণ্ডব, কখনও নীতি পুলিশের দাদাগিরি, আবার কখনও সাম্প্রদায়িকতার বিদ্বেষকে সামনে এনে মুসলিম নির্যাতন থেকে দলিতদের ওপরে অতি জঘন্য কার্যকলাপ চালানোর ঘটনা সামনে আসছে। সম্প্রতি মুজাফফরপুরের এক শিক্ষিকাকে এক মুসলিম ছাত্রকে অন্য সম্প্রদায়ের অপর শিক্ষার্থীকে দিয়ে চড় মারার নির্দেশ দেওয়ার পরেও দীপ্ত কন্ঠ তাঁকে বলতে শোনা গেছে, তিনি লজ্জিত নন। এবার সেই যোগী নেতৃত্বাধীন প্রয়াগরাজে দশম শ্রেণির ছাত্রকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটল।
সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে অন্য সম্প্রদায়ের সহকর্মী ছাত্রদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে ওই দশম শ্রেণির ছাত্র। বিবাদের জের এক নৃশংসতার দিকে মোড় নেয়। সোমবার কলেজের বাইরে ওই দশম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে তার সহপাঠীদের বিবাদের সূত্রপাত। সেই সময় শিক্ষকরা দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে দেন। কিন্তু কলেজ থেকে নবম শ্রেণির বোনকে সঙ্গে নিয়ে ফেরার পথে ওই ১৬ বছরের পড়ুয়ার ওপরে চড়াও হয় তার সহপাঠীরা। মৃত ছাত্রের বোনকে কটূক্তি সহ হেনস্থার অভিযোগ। প্রতিবাদ করতেই দশম শ্রেণির লাঠি দিয়ে বেধরক মারধক করা তার সহপাঠীরা। ঘটনায় মৃত্যু হয় ওই দশম শ্রেণির ছাত্রের। তবে সিনিয়র এক পুলিশ আধিকারিকের দাবি, বোনকে উত্যক্ত করার খবর মিথ্যাভাবে রটনো হয়েছে, আসলে ছাত্রদের মধ্যে বিরোধের ফলসরূপ এই ঘটনা ঘটেছে। দু-পক্ষের মধ্যে বিবাদের জেরে লাঠি দিয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রকে মারধর করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মৃত্যু হয় তার।