পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : রবিবার সকাল থেকেই জেলকর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বন্দিদের।ইউপির ফতেহগঢ় সংশোধনাগারে এই ঘটনা ঘটে।দুই আধিকারিককে আটক করে রাখে বন্দিরা। তাদের সঙ্গে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা চালায় প্রশাসন।
ডেঙ্গুতে এক বন্দির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ দিন সকালেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশর ফতেহগঢ়ের জেলা সংশোধনাগার।ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বন্দিদের দাবি, জেল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই ওই বন্দির মৃত্যু হয়েছে।এ দিন সকাল থেকেই জেলের ভিতরে সংঘর্ষ ছড়ায়, জেলের একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
জেল আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, অখিলেশ কুমার ও শৌলেশ কুমার নামক দুই ডেপুটি জেলারকে আটক করে রেখেছে বন্দিরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে ওই দুই আধিকারিককে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেশ কয়েকজন জেলকর্মী আহতও হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গুলির আঘাতে তিন বন্দি ও এক কন্সটেবল আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সন্দীপ কুমার নামক এক বন্দি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর মৃত্যু হয়। বন্দিদের দাবি, সন্দীপের অসুস্থতা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে আগেই জানানো হয়েছিল, কিন্তু আধিকারিকরা সেই অনুরোধে কর্ণপাত করেননি। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেখানেও ভুল চিকিৎসা করা হয়েছে বলে দাবি বন্দিদের।
সকালে সন্দীপ কুমারের মৃত্যুর খবর পেতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে বন্দিরা। জেলকর্মীদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে তারা। জেলের একটি অংশে আগুনও লাগিয়ে দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শীর্ষ আধিকারিকরা বন্দিদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে দুই ডেপুটি জেলারকেই বন্দি বানিয়ে নেয় তারা।
ফরুখাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারিন্ডেন্ট অজয়পাল সিং জানান, ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্ডেন্ট ও জেলা শাসক। তারা বন্দিদের সঙ্গে কথা বলছেন। যে বন্দির মৃত্যু হয়েছে, তার চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। যদিও বন্দিরা কোনও ভাবেই বিক্ষোভ থামাতে চাইছেন না বলে জানা গিয়েছে।