পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আপত্তিকর ভিডিয়ো তুলে সেটি ভাইরাল করে দেওয়ার অভিযোগ। লজ্জায় আত্মঘাতী নাবালিকা। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর জেলার খেরির ঘটনা। গত ৩ নভেম্বর ওই ১৭ বছরের নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়। মৃতের মা ও বোন সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। খেরির পুলিশ সুপার গণেশ প্রসাদ সাহা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসপি) আদিত্য কুমার গৌতম এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।
ঘটনায় ভিন সম্প্রদায়ের এক ২০ বছরের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নগরের স্টেশন হাউস অফিসার সিয়ারাম বর্মাকে এই মামলায় সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সহ তার দুই ভাই ও বাবার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, পকসো মামলা, বেআইনি ধর্মান্তর আইন উত্তরপ্রদেশ, তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করেছে।
ঘটনার পরে নির্যাতিতার বাড়িতে যান লখনউ রেঞ্জের পুলিশ আধিকারিক তরুণ গাবা। অভিযুক্তের কঠিন শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। নির্যাতিতার পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, তার নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের জন্য চাপ দিত অভিযুক্ত ও তার পরিবার। মৃতার বোন জানিয়েছেন, তার দিদিকে অভিযুক্ত নানাভাবে হেনস্থা ও ব্ল্যাকমেল করত।
ময়নাতদন্তের পর নির্যাতিতার দেহ গ্রামে ফেরত আসতেই গ্রামবাসীরা মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায়। রাস্তা অবরোধ সহ অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় তারা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে আসেন খেরি জেলাশাসক মহেন্দ্র বাহাদুর সিং, পুলিশ সুপার গণেশ প্রসাদ সাহা। নির্যাতিতার পরিবারকে অভিযুক্তের শাস্তির আশ্বাস দেওয়ার পরে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
রবিবার উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অভিযুক্তের পূর্ত বিভাগের জমির উপর গড়ে ওঠা একটি বেআইনি দোকান ভেঙে দেয়।