লখনউ, ২৬ নভেম্বর: উত্তরপ্রদেশে যোগী-জমানায় দলিত নিগ্রহের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে দলিতদের কাছে টানতে চাইছে কংগ্রেস। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দলিতদের সাথে যোগাযোগ ও সৎভাব আরও বাড়াতে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস তাদের চলমান দলিত প্রচার কর্মসূচিকে ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৯ অক্টোবর থেকে এই ‘দলিত গৌরব সম্বাদ’ কর্মসূচি শুরু করেছিল কংগ্রেস। ঠিক ছিল ২৬ নভেম্বর রবিবার সংবিধান দিবসের দিন তা শেষ করা হবে। কিন্তু, সেই কর্মসূচির মেয়াদ আরও একমাস বাড়িয়ে ডিসেম্বরের শেষপর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান অজয় রাই বলেন, ‘সম্বাদ কর্মসূচিতে আমরা যে বিপুল সাড়া পেয়েছি তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই কর্মসূচিকে আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাতে আমরা রাজ্যের প্রতিটি দলিত পরিবারের কাছে পৌঁছাতে পারি। এই সম্বাদ ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত চলবে।’
শনিবার সরোজিনীনগর বিধানসভা কেন্দ্রে একটি সম্বাদে ভাষণ দিতে গিয়ে রাই অভিযোগ করেছিলেন যে, রাজ্যে বিজেপি সরকারের শাসনে দলিতদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে। বিজেপি সরকার অপরাধীদের বাঁচাচ্ছে। (বিজেপি) সরকার সংঘটিত নৃশংসতায় অপরাধীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। হাতরাস, উম্বা (সোনভদ্র), লখিমপুর খেরি, আজমগড়, প্রয়াগরাজ, কৌশাম্বি এবং বাহরাইচ সহ বিভিন্ন জেলায় দলিতদের উপর নির্যাতন হয়েছে। বিজেপির শাসনে উত্তরপ্রদেশে এমন একটিও জেলা নেই যেখানে দলিতরা নিরাপদ বোধ করে। আসলে রাজ্যে একটি ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমাদের এই কর্মসূচি দলিতদের সম্মান, আত্মসম্মান ও অধিকারের লড়াইকে মর্যাদা দেওয়ার জন্য। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি ও আরএসএসের দলিত বিরোধী মানসিকতাকে সফল করতে দেব না।
ইউপি কংগ্রেসের সংগঠন-সম্পাদক অনিল যাদব জানান, সম্বাদ কর্মসূচির মাধ্যমে দল রাজ্যের এক লক্ষ প্রভাবশালী দলিত ব্যক্তিত্বর কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে। শিক্ষক, আইনজীবী, গ্রামের প্রধান—প্রমুখদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হবে। দলিতদের অধিকার সংক্রান্ত একটি ফর্ম পূরণ করা হবে। এখনও পর্যন্ত ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ এই ফর্মটি পূরণ করেছেন। সম্বাদ কর্মসূচি জনগণের থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। সে কারণেই আমরা এই কর্মসূচিকে আরও বড় আকারে ছড়িয়ে দিতে চাইছি। প্রথম দিকে, আমরা রাজ্যের ৪০৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রত্যেকটি কেন্দ্রের অন্তর্গত ১০টি গ্রামে দলিত ‘চৌপাল’ (সভা) করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু, মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া প্রত্যক্ষ করে আমরা এখন গ্রামের সংখ্যা বাড়িয়ে ২০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন, চৌপালগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাজ্যের ৮ হাজারের বেশি গ্রামে এই চৌপাল হবে।