পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কন্ঠস্বর চিনতে না পারায় উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি করণিকের বিরুদ্ধে দেওয়া হল বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ। তাঁর অপরাধ তিনি বুঝতে পারেননি ফোনের ওপারে আছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের আমেথির এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কর্তব্যে অবহেলার জন্যই ওই কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ বলে সাফাই দিয়েছেন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তারা।
ঠিক কি ঘটেছিল? জানা যাচ্ছে পুর পাহালওয়ান গ্রামের একজন বাসিন্দা কেন্দ্রীয় স্মৃতি ইরানির কাছে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। ২৭ অগস্ট স্মৃতির কাছে অভিযোগ করেন পাহালওয়ান গ্রামের ওই ব্যক্তি। তিনি বলেন তাঁর বাবা ছিলেন শিক্ষক। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর সরকারি নিয়ম মোতাবেক পারিবারিক পেনশন পাওয়ার কথা মা সাবিত্রী দেবীর। কিন্তু তিনি পেনশন পাচ্ছেননা । এরফলে পরিবারকে চরম আর্থিক সংকটের মুখে পড়তে হচ্ছে।
আমেঠির চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার (সিডিও) অঙ্কুর লাথার সোমবার সংবাদসংস্থাকে জানান পাহালওয়ান গ্রামের জনৈক করুণেশ- এর অভিযোগ করেন মুসাফিরখানা তহসিলের লেখপাল দীপক ( সরকারি করণিক) ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর মা সাবিত্রীদেবীকে পেনশন থেকে বঞ্চিত করছেন। নথি শনাক্তকরণ বা ভেরিফিকেশনের কাজে অকারণ ঢিলেমি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই জন্য কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির দ্বারস্থ হয়েছেন সাবিত্রীদেবীর পরিবার।
চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার লাথার বলেন এই অভিযোগ পাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজে ফোন করেন লেখপাল দীপককে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও গলাও বুঝতে পারেননি দীপক । এমনটাই দাবি লাথারের।
লাথার আরও বলেন যে মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট মুসাফিরখানা তহসিলের বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন। তারপরেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা। আপাতত দীপককে গৌতমপুর গ্রামসভায় বদলি করা হয়েছে।