পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চারিদিকে লাশের সারি। তার মধ্যে পড়ে রয়েছে একরত্তি। মায়ের নিথর দেহ ধরেই বাঁচার আকুলতায় স্তন্যপান করছে সে। তখনও সে জানে না মা আর কোনও দিনই তার কাছে ফিরে আসবে না। ধ্বংসস্তূপ গাজায় এ হেন দৃশ্য দেখে কার্যত চোখে জল উদ্ধারকারীদের। হামাস-ইসরাইলের পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শোচনীয় অবস্থা হামাসের। চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ। রয়েছে স্বজনহারার ‘বুক-ফাটা’ কান্না। প্রাণ বাঁচাতে গাজা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সমানতালে চলছে বিমান হামলায় বিধ্বস্ত বহুতলের ধ্বংসস্তুপ সাফ করার কার্যক্রম। তেমনই একটি বহুতলে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছিল। ১৩ তলার সেই হাইরাইজ আবাসনটি রকেট নিক্ষেপ করে গুড়িয়ে দেয় ‘অত্যাচারী’ ইহুদি বাহিনীরা। সেই ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকে আছেন কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছিল উদ্ধারকারীরা। কংক্রিটের বড় বড় চাঙড় সরাতেই তারা দেখেন, এক মহিলা নিথর হয়ে পড়ে রয়েছেন। তাঁর পাশেই শোয়া একটি শিশু। সে তার মায়ের স্তন্যপান করছে। এই দৃশ্য দেখেই ‘আল্লাহ আকবর’ বলে কেঁদে ওঠে উদ্ধারকারী দল। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আহমদ নামে এক ব্যক্তি জানান, ইসরাইলি হামলায় গুড়িয়ে যাওয়া বহুতলের ১৩ তলায় তাঁর বোন থাকতেন। এদিন তাঁর খোঁজেই সেখানে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু দেখেন যেখানে বহুতলটি ছিল, সেটি পুরো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আহমদ আরও জানান, জীবিত ওই শিশুটি তাঁর ভাগ্নে। বয়স মাত্র ১ মাস। নাম ইয়ামিন। মেনিনজাইটিসের জন্য দু’দিন আগেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল একরত্তিকে। আবেগঘন কণ্ঠে আহম্মদ জানান, ‘শয়তান’ ইসরাইলিদের রকেট নিক্ষেপের ঘটনায় আমার বোন ‘শহিদ’ হলেও আল্লাহ তাআলা আমার ভাগ্নে কে বাঁচিয়ে রেখেছে।