পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : দেশের সংবিধান রচিত হওয়ার পরে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ দিতে ৪৩ বছর সময় লেগেছিল। বাংলায় তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে। আর মাত্র এক বছরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্ঠায় সেই সংরক্ষণ পঞ্চাশ শতাংশ করে দেওয়া হয়। ২০১২ সাল থেকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই সুবিধা ভোগ করছেন মহিলারা। বলতে গেলে পশ্চিমবাংলাতে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতিরাজের অর্ধেক আকাশটাই এখন মহিলাদের হাতের মুঠোয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীদের ক্ষমতায়নে সর্বতোভাবে সংগ্রাম করে চলেছেন। অন্তত এমনটাই দাবি রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর।
শনিবার তিনি জঙ্গিপুর জেলা সাংগঠনিক মহিলা তৃণমূল এবং বঙ্গ জননী আয়োজিত পঞ্চায়েত সভা-২০২২ শীর্ষক একটি ইন্ডোর প্রোগ্রামে বক্তব্য রা’ছিলেন। মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের রবীন্দ্রভবনে আয়োজিত সংগঠনের কর্মসূচিতে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও বিশিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমল সভাপতি তথা সাংসদ ‘লিলুর রহমান, রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বঙ্গ জননী সভানেত্রী মালা রায়, রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মুহাম্মদ আখরুজ্জামান, বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি ঝর্ণা দাস, মুহাম্মদ সোহরাব, হালিমা বিবি প্রমুখ বলে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এদিন সভামঞ্চে উপস্থিত প্রত্যেক বক্তার বক্তব্যে আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের সাফল্য ধরে রা’তে মহিলা কর্মীদের ও ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। মুহাম্মদ সোহরাবের মত বর্ষীয়ান রাজনীতিকের বক্তব্যেও সংগঠনকে সুসংদ্ধভাবে পরিচালনার পরামর্শ দেওয়া হয়। সংক্ষিপ্ত অথচ মনোজ্ঞ বক্তব্য তুলে ধরতে দেখা গেছে সাংসদ ‘লিলুর রহমানকে। তিনি মহিলাদেরও সমান রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবদানের কথা তুলে ধরেন। ‘লিলুর রহমান রাজ্যের তৃণমূল পরিচালিত সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক একের পর এক বাস্তবায়িত জনমুখী কর্মসূচীগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরে বক্তব্য পেশ করেন। এদিনের সভায় মহিলা কর্মীদের উপস্থিতি ছিল নজর কাড়ার মত।