এস জে আব্বাস, বর্ধমান:
“বিজেপি মন কি বাত করবে কিন্তু কাম কি বাত কিছু হবে না। কাম কি বাত করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” – সায়নী ঘোষ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ডাকে বাংলার প্রতি কেন্দ্র সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে ও একশো দিনের বকেয়া মজুরির দাবিতে বুধবার একটি প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয় বর্ধমান আলিশা বাস স্ট্যান্ড থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ,তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জী, চেয়ারম্যান অপূর্ব চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, রাজ্য আদিবাসী সেলের নেতা দেবু টুডু, প্রাক্তন সাংসদ ডা. মমতাজ সংঘমিতা, জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস, ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি স্বরাজ ঘোষ, যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার, মহিলা সভানেত্রী শিখা সেনগুপ্ত,বিধায়ক খোকন দাস, শম্পা ধারা,নিশীথ মালিক, অলোক মাঝি সহ জেলার অন্যন্য বিধায়ক , ব্লক সভাপতি সহ বিভিন্ন নেতৃত্ব।
কেন্দ্র বঞ্চনা প্রসঙ্গে স্বপন দেবনাথ বলেন, বাংলার ২১ লক্ষ শ্রমিক টাকা পাবে। বর্ধমান জেলায় যার পরিমাণ ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার১৫৩ জন।অনুমোদন সত্বেও গৃহহীন মানুষ বাংলার আবাস যোজনা টাকা তারা পাননি। তিনি উপস্থিত যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, যুবকের যদি তাগত(শক্তি) থাকে তাহলে বিজেপি পতাকা লাগানোর সাহস পাবে না।
খোকন দাস বলেন, নরেন্দ্র মোদি মনে করেন ভারতবর্ষে আর কিছু করার দরকার নাই। অথচ এদিকে ভারতবর্ষ অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়েছে। কাজ নাই কিছু নাই। মানুষের কিছুই করবো না। তার চিন্তাভাবনা গোটা ভারতবর্ষে হনুমান মন্দির হবে। তিনি ধর্মকেই ইস্যু করে ভারতে রাজনীতি করছেন। কোনো কাজ না করে ভারতের মানুষকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন।
যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, আমরা পাঁকে তৈরি হয়নি, মাটি থেকে তৈরি। তাই মাটিতে মিশে থাকি। মা মাটি মানুষের কথা ভাববো,তাদের জন্য কাজ করব। বিজেপি মন কি বাত করবে কিন্তু কাম কি বাত কিছু হবে না। কাম কি বাত করবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপির ধর্ম নিয়ে রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেন, এটা মাতৃশক্তির জায়গা। আপনারা শ্রীরামচন্দ্রের পূজো করেন, আর শ্রীরামচন্দ্র মা দুর্গার পূজা করেন। বাংলার মাটি হচ্ছে মা দুর্গার মাটি। এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছে আমরা রামমন্দির বানাচ্ছি। আসলে,ধর্ম আছে কর্ম নেই।
প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগেরে তিনি বলেন, বাংলার মানুষ কাজ করবে, তাদের খেটে খাওয়া টাকা,তাদের ন্যায্য অধিকার আপনার সাহস হয় কি করে টাকাগুলো আটকে রাখার। রাগ? যে আমাদেরকে হারিয়ে দিয়েছে! আপনার এত রাগ ,এত ইগো,আপনি কি করে মানব সেবায় নিয়োজিত হবেন! তিনি আরও বলেন, বাংলায় বিজেপির আঠারো টা সাংসদ আছে।
তারা দিল্লি যায়,কিন্তু বলেন টাকা দেবেন না। এদের ভোট দেবেন? আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আগত কর্মী তথা বাংলার মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনার বাড়ির রাস্তা, ড্রেন, বাড়িতে কারেন্ট আসছে কিনা – সেটার নির্বাচন নয়। এটা পলিসির নির্বাচন। সংসদের নির্বাচন।এটা দেশে কি আইন আনা হবে – সেটার নির্বাচন। এদিনের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে উপস্থিত নেতৃত্বগণ বর্ধমান তথা বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে সব কটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসকে জয়ী করার আহ্বান জানান।