পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: বসিরহাট বিধানসভার আটবারের বিধায়ক ও ৪৭ বছরের কাউন্সিলর এবং এক বারের বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বসিরহাট হাই স্কুলের দীর্ঘ সময় শিক্ষক ছিলেন যিনি তিনি হলেন নারায়ণ মুখার্জি। ভূমিপুত্র হিসেবে বসিরহাট বিধানসভার বিভিন্ন প্রান্তে ছিল তার অবাধ বিচরণ। মানুষের সুখ দুঃখের খতিয়ান নিয়ে যিনি সরব হতেন বিধানসভায়। বসিরহাটের পুর এলাকার মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য যিনি টানা ৪৭ বছর বসিরহাট পৌরবাসীর আশীর্বাদ পেয়েছিলেন।
২০১৪ সালে ২ মার্চ বার্ধক্যজনিত রোগে এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে এক রাজনৈতিক ইতিহাসের সমাপ্তি হয়। এরপর আট বছর কেটে গেলেও তার জীবন সংগ্রামের কাহিনি তুলে ধরে তার দল সেই মতো তাকে মর্যাদা দিতে পারিনি। এবার একেবারে বসিরহাট শহরের প্রাণকেন্দ্র সূর্যকান্ত পার্কে শ্বেতপাথরের আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করে সৌজন্যের রাজনীতি দেখাল তৃণমূল পরিচালিত বসিরহাট পুরসভা ও বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়়ক।
শনিবার এই মূর্তি উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায়চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান সুবীর সরকার, বসিরহাট পুরসভার কাউন্সিলরসহ নারায়ণ মুখার্জি স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্য কালিপদ দাস, অচ্যুৎ মল্লিক ও প্রাক্তন বিধায়কের পরিবারের সদস্যরা। এই মূর্তি তৈরি করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। সময় লেগেছে পাঁচ মাস। বিহারের শিল্পী রবিপ্রসাদের অসাধারণ শিল্পদক্ষতায় শ্বেত পাথরের আবক্ষ মূর্তি পেয়েছে প্রাণ।
প্রয়াত নারায়ণ মুখার্জি স্মৃতি রক্ষা কমিটির সদস্য কালিপদ দাস বলেন, ‘তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা ও বিধায়ক সহযোগিতা না করলে এই আবক্ষমূর্তি বসানো যেত না। পাশাপাশি যেভাবে শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এই মূর্তি বসানোর জায়গা দিয়েছে বসিরহাট পুরসভা সেজন্য তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’