পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল উপপ্রধানের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তপ্ত রামপুরহাট। বগটুই গ্রাম থেকে উদ্ধার ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ। সোমবার রাতেই তিনটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বাকি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দমকল ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় ওসিকে ক্লোজ, এসডিপিওকে অপসারণ করা হল। এই ঘটনায় নবান্নে প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। রামপুরহাটে রওনা দিলেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
বীরভূমের রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্র বগটুই গ্রাম। এর পরেই একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে চলে তাণ্ডব। সেইসঙ্গে চলে বোমাবাজি।
স্থানীয় সূত্রে খবর গতকাল তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের বদলা নিতে ১২ জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ। আহত হয়েছেন আরও ৩৭ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ৪০টি বাড়ি আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। যদিও পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, এখনও অবধি সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে ডিআইজি-সিআইডির নেতৃত্বে দল যাচ্ছে রামপুরহাটে। গঠন করা হচ্ছে সিটও।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে রামপুরহাটে জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা ছুঁড়ে দুষ্কৃতীরা খুন করে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, এরপরই ভাদু শেখের অনুগামীরা তাণ্ডব চালায়। বেশ কিছু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। মঙ্গলবার সেই গ্রাম থেকে সাতজনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। সোমবার রাতেই গ্রামে যান দমকলের আধিকারিকরা। দমকলেরই এক আধিকারিক জানান, সোমবার রাতে তিনজনের দেহ এবং মঙ্গলবার সকালে সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রামপুরহাট পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
আজ নিহত ভাদু শেখের দেহ গ্রামে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে তার মা ও স্ত্রী। নিহত ভাদু শেখের স্ত্রী ও মা খুনিদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বগটুই গ্রামের পূর্ব পাড়া ও পশ্চিম পাড়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটা রেষারেষির সম্পর্ক রয়েছে। একাধিকবার এই এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। গ্রাম্য বিবাদ নাকি রাজনৈতিক দলাদলির তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। কারণ, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সোমবার রাতে তৃণমূলের উপপ্রধানের মৃত্যুর পর থেকেই এলাকায় পুলিশ ছিল। তারপরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল।