সামিম আহমেদ, কাকদ্বীপ : গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে গিয়ে আবার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটল। এবার বঙ্গোপসাগরের ১০ থেকে ১২ কিমি নিচ থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।
কেঁদো দ্বীপের কাছে ডুবো চড়ায় ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায় এফবি সত্যনারায়ণ নামে ট্রলারটি। সেই ট্রলারে থাকা ১৮ জন মৎস্যজীবী উত্তাল সমুদ্রে ভাসতে থাকে। কাছাকাছি থাকা মৎস্যজীবী ট্রলার তাদের খোজে তল্লাশি চালানো শুরু করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে প্রশাসন ও উপকূল রক্ষির বাহিনীরা। নিম্নচাপ থাকার কারণে ঠিকমত তল্লাশি চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার এফবি সত্যনারায়ণ একটি ট্রলার ১৮ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বের হয়েছিল। বঙ্গোপসাগর থেকে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার নিচে তারা পৌঁছে গিয়েছিল। খারাপ আবহাওয়ার কারণে তাদের ১৭ তারিখ বুধবারের মধ্যে সমুদ্র থেকে বন্দরে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সতর্কবার্তা পেয়ে তারা বন্দরে ফিরে আসার পথে কেঁদো দ্বীপের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডুবে যায়।
ডুবো চড়ায় ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি উল্টে যায় বলে জানা গিয়েছে। মৎস্যজীবীরা উত্তাল সমুদ্রে পড়ে যায়। জঙ্গল ঘেরা দ্বীপের কাছে আশ্রয় নেওয়া কয়েকটি ট্রলার নিখোজ মৎস্যজীবীদের সন্ধান শুরু করেছে।
কিন্তু উত্তাল সমুদ্রে ভেসে থাকার চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত মৎস্যজীবীদের কোনো খোঁজ মেলেনি।
খবর পেয়ে নামখানা থেকে উদ্ধারকারী তিনটি মৎসজীবি ট্রলার মৎস্যজীবীদের খোজে তল্লাশি চালানোর জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। খবর পাঠানো হয়েছে প্রশাসন ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে। তারাও ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। কিন্তু নিম্নচাপ না সরলে তাদের পক্ষে ঠিকমত উদ্ধার কার্য শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎসজীবী শ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান, এফবি সত্যনারায়ণ নামে একটি ট্রলার কেঁদো দ্বীপের কাছে ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েছি। ওখানে কয়েকটি ট্রলার আছে। আর নামখানা থেকে তিনটি ট্রলারকে ওখানে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি ভালো নয়। একে নিম্নচাপ তার উপর যে জায়গায়টিতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে গভীরতা কম থাকার বলে ট্রলারগুলো সেখানে ভিড়তে পারছে না। তবে ওই ট্রলারে থাকা কোনও মৎস্যজীবী সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি প্রশাসন ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে।