পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল কেদারনাথ। ‘পিঠু’ থেকে খাদে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় বছর পাঁচেকের এক শিশুর।বাচ্চাটি তাঁর বাবা মা এর সঙ্গেই উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে যাচ্ছিল। পরিবারের সকলেই হেঁটে গেলেও পাঁচ বছরের ওই শিশুটিকে এক ব্যক্তির ‘পিঠু’-তে বসিয়েছিলেন তাঁরা। আর তার পরেই হঠাৎ করেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। পার্শ্ববর্তী ২০০ মিটার নীচের গভীর খাদে শিশুটি পড়ে যায়। সেখান থেকেই তাঁর মৃত দেহ উদ্ধারকরা হয়।
ঘটনাটি ঘটে গৌরীকুন্ড থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত লিঞ্চোলির কাছে। মন্দিরে যাওয়ার জন্য যেখান থেকে ট্রেক রুট শুরু হয়।
ঘটনাটির পর পরর অভিযুক্ত ব্যক্তি সেই স্থান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশের অনুমান অনুসারে পলাতক ব্যক্তি একজন নেপালের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের আগ্রা থেকে কেদারনাথে এসেছিলেন ওই পরিবারটি। রাজ্য বিপর্যয় বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে, তারা ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং দেহটিকে উদ্ধার করে। মৃত শিশুর পরিবার স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।কি কারণে এই ঘটনাটি ঘটলো টা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।অভিযোগের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
তীর্থযাত্রীরা যাতে খচ্চর অপারেটর বা পিঠুদের নিয়োগের আগে তাঁদের সঠিক পরিচয় জেনে নেন, সেব্যাপারেও আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে। তীর্থযাত্রীকে যে ব্যক্তি তাঁর পিঠে রাখা একটি ঝুড়ির মতো পাত্রে নিয়ে ওপরে ওঠেন তাকেই বলে ‘পিঠু’। পাহাড়ি ওই ব্যক্তিরাও ‘পিঠু’ বলেই পরিচিত।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের আগ্রার এক দম্পতি তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে গত ৩০ জুন উত্তরাখণ্ডে এসেছিলেন। পরের দিন কেদারনাথ মন্দিরের যাওয়ার জন্য ট্রেকিং শুরু করেছিলেন। খচ্চরে চড়ে গৌরীকুন্ড থেকে ভীমবালি পৌঁছানোর পর, দম্পতি তাদের ছোট ছেলের জন্য একটি পিঠু ভাড়া করেছিলেন। আর তার পরেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।