পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ সাল ভারতীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কালো দিন। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধংসের পাশপাশি গোটা দেশ প্রত্যক্ষ করেছিল এক সাম্প্রদায়িক হিংসা।
২৯ বছর পার করে এসেও আজও দেশবাসীর মনে রয়ে গিয়েছে সেই ক্ষত । ‘বাবরি তো ঝাকি হ্যায়, মথুরা কাশী বাকি হ্যায়। সেই সময় উন্মত্ত করসেবকদের এই রক্ত জল করা হুঙ্কার আজও যেন কানে ভাসে। সেই কারণেই ৬ ডিসেম্বর ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মন্দির নগরী মথুরাকে।
শাহি ঈদগাহ মসজিদ সংলগ্ন চত্বরে শ্রীকৃষ্ণের একটি মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে। সেই কারণেই নিরাপত্তার এত কড়াকড়ি। মথুরায় রয়েছে বেশ কিছু প্রাচীন মন্দির। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী এখানেই ছিল কৃষ্ণের জন্মভূমি।
এখানেই নাকি ছিল কেশবনাথের মন্দির অভিযোগ করা হয় এই প্রাচীন মন্দিরটি ভেঙেই নাকি মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মসজিদ নির্মান করেন। ওই মন্দির চত্বরের মালিকানা ১৯৩৫সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট দেয় মথুরার রাজাকে।
পর্যায়ক্রমে সেই স্বত্ব আসে কৃষ্ণভুমি ট্রাষ্টের হাতে।অবশেষে ১৯৬৮ সালে জমির মালিকানা হিন্দুদের হাতে থাকলেও তার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বর্তায় মুসলিমদের হাতে। স্বাভাবিক ভাবেই ৬ ডিসেম্বর বাড়তি নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে মথুরাকে।