পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ আজ ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালের আজকের দিনে জন্ম নিয়েছিল বিশ্বের একমাত্র বাংলা ভাষাভাষী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। অনেক লড়াই, সংগ্রামের পর এই দিনে বিশ্বের বুকে স্বাধীন অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি। সবুজ জমিতে রক্তিম সূর্যখচিত মানচিত্রের তলায় লেখা হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের নাম।
স্বাধীনতার ৫১তম বছরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদের বিরোধী দলনেতা গোলাম মুহাম্মদ কাদের পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন। দেশবাসীকে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে রাষ্ট্রীয়ভাবে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দল এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ঐতিহাসিক এ দিনটি উদযাপন করা হবে। আজ সাধারণ ছুটির দিন ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশে।
১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ওপাকিস্তান দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান নামে পৃথক রাষ্ট্রের জন্মের পরই তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিব এ ভূখণ্ডে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। দিনে দিনে পাকিস্তানিদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যমূলক মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। শেখ মুজিব যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালিদের অধিকার ও আত্মমর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে অটল ছিলেন। তার অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল ছিল ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ।
শেখ মুজিব হয়ে উঠেছিলেন বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বঙ্গবন্ধু। ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা করেছিলেন, ‘আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এ দেশটির নাম পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে হবে শুধুমাত্র ‘বাংলাদেশ’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ’৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক-সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর না করে টালবাহানা শুরু করে। শেখ মুজিব অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন এবং ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা দেন। ২৩ মার্চ সারাদেশে উত্তোলন হয় বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা।