শ্রীনগর, ১৬ ডিসেম্বর: লোকসভা ভোট সামনে। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে ৩ রাজ্যে জয়ের পর বিজেপির আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। তার ওপর ৩৭০ প্রত্যাহারে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আস্থা রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে কাশ্মীরে দ্রুত ভোট করতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়। সে কথা মাথায় রেখেই জম্মুতে দু’দিনের বৈঠকের আয়োজন করেছে আরএসএস। কিভাবে জম্মু-কাশ্মীরের ভোট জয় করা যায় তা নিয়ে জম্মুর মানুষকে প্রভাবিত করার মতান্তরে মগজ ধোলাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছে সংঘ। ১৬-১৭ ডিসেম্বর রয়েছে তাদের কোয়ার্ডিনেশন কমিটির বৈঠক। এই দুই দিনেই ঠিক হয়ে যাবে তাদের চূড়ান্ত রণকৌশল।
সংঘ এই বযিহকে তাদের সমস্ত শাখা সংগঠনগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বথকে থাকছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারাও। কেবল জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন নয়, আসন লোকসভার রণনীতিও আরএসএসের বথকে ঠিক হয়ে যাবে বলে সূত্রের খবর। আরএসএস চাইছে কারো সাহায্যে নয়, বিজেপি যেন জম্মু-কাশ্মীরের নিজেদের ক্ষমতাবলে সরকার গড়ে দেখতে পারে। আরএসএস জেনেছে জম্মুর লোকেরা নাকি বিজেপির ওপর বেজায় চটে রয়েছে। তারা যদি চটে থাকে তাহলে মহা বিপদ। কারণ কাশ্মীরে তাদের তেমন একটা দল গলবে না। যা করার করতে হবে জম্মু থেকেই। ২০১৪ তে বিজেপি জম্মুর ৩৭ আসনের মধ্যে পেয়েছিল ২৫ আসন।
বিজেপি জম্মুর মানুষের সঙ্গে সঠিক আচরণ করেনি বলে সেখানকার বহু মানুষের অভিযোগ। আরএসএস জমিনে নেমে জনগনের এমন মনোভাবের কথা জেনে চিন্তিত। কিন্তু তারা হাত গুটিয়ে বসে নেই। তাদের বক্তব্য যা করার করতে হবে এখনই। সেকন্যাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রশমিত করতে চাইছে। বাকিউ দলগুলো যখন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে আরএসএস তখন তার বাধ্য ছাত্র বিজেপির জন্য পাঁক তৈরী করতে শুরু কফরে দিল। পাঁক না হলে পদ্ম ফুটবে কেমন করে!