ইনামুল হক, বসিরহাট: সংগ্রামী বীর শহিদ সৈয়দ মীর নিসার আলী ওরফ তিতুমীরের শাহাদাত দিবস পালিত হল নারকেল বেড়িয়ার বাঁশের কেল্লা খ্যাত পুণ্যভূমিতে। আয়োজন করে নারিকেলবেড়িয়া শহিদ তিতুমীর মিশন ও আটঘরা বিকাশ কেন্দ্র। এদিন তিতুমীরের শাহাদাতভূমি নারকেলবেড়িয়াতে একটি প্রভাত ফেরীতে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষাবিদ মিরাতুন নাহার, কবি আমির আলী, তিতুমীর গবেষক ও বিশিষ্ট শিক্ষক ড. মোস্তফা আব্দুল কাইয়ুম, শহিদ তিতুমীর মিশনের কর্মকর্তা, ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মীরাতুন নাহার ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সেবা’ এর সম্পাদিকা অনুরাধা চ্যাটার্জি, প্রাক্তন অধ্যাপক অভিজিৎ নন্দী, কবি সাহিত্যিক আমির আলী, সেবার কার্যকরী কমিটির সদস্য মহাবুল বৈদ্য।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শহিদ তিতুমীর মিশনের সম্পাদক রবিউল হক। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শহিদ তিতুমীর মিশনের সভাপতি সোবহান সরদার, পত্রিকা সম্পাদক সাজ্জাদ আলী, সহ-সভাপতি নুরুল আমিন মন্ডল, কার্যকরী কমিটির সদস্য শিক্ষক গোলাম রহমান, মোহাম্মদ আলী, গোলাম রসুল, কবি রমজান আলী প্রমুখ। এই উপলক্ষে বাদুড়িয়ার আটঘরা বিকাশ কেন্দ্রে দু’দিন ধরে ৩৭তম বার্ষিক তিতুমীর মেলার আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার প্রথম দিনে শিশু ও কৃষি দিবস পালন করা হয়। স্থানীয় আনন্দ কেন্দ্রের শিশু ও বয়সন্ধীদের বিষয়ে আলোচনা সভা হয়। চাষবাস নিয়ে সভা হয়। মঞ্চস্থ হয় ভগবতী দ্যা গ্রেট নাটক। শনিবার শহিদ দিবস উপলক্ষে নারকেলবেরিয়া শহিদ স্থানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
একই সঙ্গে আটঘরাতে রক্তদান শিবির কবি সম্মেলন ও বাচ্চাদের নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়।
অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে এদিনও তিতুমীরের জন্ম ক্ষেত্র বাদুড়িয়ার চাঁদপুর হায়দারপুর ও শাহাদাতভূমি নারকেলবেড়িয়াকে সরকারিভাবে হেরিটেজ গ্রাম হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।