সুজাউদ্দিন গাজী– বাসন্তীঃ বাঘের খাবারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে সুন্দরবনে। সুন্দরবনের জঙ্গলে হরিণের সংখ্যা নাকি বেশ কমে গিয়েছে। গত এক মাসে অন্তত পাঁচবার লোকালয়ে ঢুকেছে বাঘ। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন গ্রামে। এর একাধিক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে জঙ্গলে খাদ্য সঙ্কট অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বন দফতর। সুন্দরবনের বাঘেদের খাবারের ঘাটতি দূর করতে পাঁচটি হরিণ প্রজনন কেন্দ্র গড়ছে বন দফতর।
রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন– ‘বাঘেদের জন্য জঙ্গলে হরিণ ছাড়া হয় নিয়মিত। কোনও সময় যাতে সংকট তৈরি না হয়। তাই হরিণের সংখ্যা আরও বাড়ানোর বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাঘের খাবার কমে গিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। খাবারের সন্ধান করতে বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নদী সাঁতরে অন্ধকারে লোকালয়ে চলে আসছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাঘের খাবার জোগাতে হরিণ প্রজনন কেন্দ্র তৈরি করব।’ একেকটি কেন্দ্র তৈরি করতে অন্তত ১.৫ কোটি টাকা করে খরচ হবে বলে অনুমান মন্ত্রীর। এই কেন্দ্রের চারিদিকে পাঁচিল– কৃত্রিম জঙ্গল এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে বেশি অর্থ খরচ হবে। একেকটি প্রজনন কেন্দ্রে ১৫টি পুরুষ ও স্ত্রী হরিণ প্রাথমিকভাবে রাখা হবে। মনে করা হচ্ছে ২ মাসে এদের অনেকটা বংশ বৃদ্ধি হয়ে যাবে। তারপরই সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এদিকে– ম্যানগ্রোভ নিয়ে গবেষণা করতে একটি বিশেষ কেন্দ্র তৈরি করার কথাও জানিয়েছেন বনমন্ত্রী। পাশাপাশি সজনেখালিতে ছয় একর জমিতে ভেটিভার ঘাস নিয়ে গবেষণা কেন্দ্রও করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। মূলত– মাটির বাঁধ রক্ষায় এই বিশেষ ঘাসের ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য। কিছু জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে সেটা লাগিয়ে ফল পাওয়া গিয়েছে। সুন্দরবনের নদীবাঁধ রক্ষা করতে এই ঘাস কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে ভালোভাবে গবেষণা করে তবেই এগোতে চাইছে সরকার।