পুবের কলম প্রতিবেদক: এ বছর ১৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দেওয়া হবে শিক্ষারত্ন পুরস্কার। ‘শিক্ষারত্ন’ সম্মান পেতে শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন জানিয়েছে। আবেদনের প্রক্রিয়া ১১ জুলাই শেষ করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসককে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষকরা নিজেরাই অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষারত্ন পেতে আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদনগ্রহণ শেষ হলেও সেগুলি খতিয়ে দেবে শিক্ষা দফতর।
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, আবেদনপত্র দফতরে জমা পড়লে তা স্ক্রিনিং হবে। শিক্ষা দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা চিন্ময়ী পট্টনায়েকের নেতৃত্বে চলবে এই শিক্ষরত্ন পুরস্কার দেওয়ার জন্য প্রার্থীবাছাই করার কাজ। এই কমিটিই শিক্ষারত্ন দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। ৭১ জন প্রাথমিক শিক্ষক ও ৮২ জন মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক এই সম্মান পাবেন।
বছরের পর বছর যাঁরা ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কৃতী করে তুলছেন, জীবনের পথে এগিয়ে দিচ্ছেন, সেইসব শিক্ষক শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা হয়েছে শিক্ষারত্ন সম্মান।
বহু বছর ধরে এই মহৎ সেবায় নিযুক্তরাই এই সম্মান প্রাপ্য। যে সমস্ত শিক্ষকরা এই পুরস্কারের সঙ্গে জুড়তে চান, তাঁদের অন্তত ২০ বছরের অভিজ্ঞতা এবং তার সঙ্গে সম্পর্কিত কাগজ, ডকুমেন্ট সবকিছু আপলোড করতে হবে।
শুধু সহকারি শিক্ষক শিক্ষিকারা নয়! বরং প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষিকারাও আবেদন করতে পারবেন।
যাঁরা আগে থেকেই এই অ্যাপের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের নিজের বায়ো-ডাটা পরিবর্তিত করতে হতে পারে। সম্পূর্ণ কাগজপত্র সাবমিট করার আগে সব কিছু মিলিয়ে দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর আগে যাঁরা একবার এই পুরস্কার পেয়েছেন তাঁরা একেবারেই যোগ্য প্রার্থী নয়।