পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যের পরিবহণ দফতর দূষণবিহীন গাড়ি চালাতে উদ্যোগী হয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরে বেশ কিছু বৈদ্যুতিন বাস চালু হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে পুরোপুরি বৈদ্যুতিন বাস চালানোর পরিকল্পনা করছে রাজ্য। এরই মধ্যে বড় খবর শোনাচ্ছে পরিবহণ দফতর। সব ঠিক থাকলে এই শীতকালেই গঙ্গাবক্ষে নামছে দূষণহীন ২২টি নয়া জলযান।
৮০ ও ১০০ আসনবিশিষ্ট এই ভেসেলগুলো জলপথ পরিবহণে বড় ভূমিকা রাখবে। বড় কথা এগুলিও হবে বৈদ্যুতিন। জানা গিয়েছে, নয়া ভেসেলগুলির নামকরণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নতুন করে যে ৯টি অত্যাধুনিক জেটি তৈরি করা হয়েছে, সেগুলিও উদ্বোধন হবে।
সূত্রের খবর, নয়া ভেসেলগুলিতে থাকবে বায়ো টয়লেট, দূষণ ঠেকাতে যাবতীয় বর্জ্য জমা হবে একটা জায়গায়। ঘাটে এসে তা পরিষ্কার করা হবে। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় জলপথে পরিবহণকে সাজাতেই এই পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত গৌড়হাটি, রাসমণি ঘাট, গাদিয়াড়া, আউট্রাম ঘাট, বাঁশবেড়িয়া, দেবীতলার মতো জেটিগুলো নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। বসানো হয়েছে নতুন আলোর স্তম্ভ, স্মার্ট কার্ড গেট, বানানো হয়েছে নয়া শৌচালয়ও।
পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হুগলির ত্রিবেণী থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নূরপুর পর্যন্ত জেটিগুলিতে চলবে নতুন ভেসেলগুলি। একেকটি জলযান কিনতে খরচ পড়েছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা করে। মোট ২০০ কোটি টাকা এই খাতে খরচ করা হবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, নতুন ভেসেল যেগুলি গঙ্গায় নামবে, সেগুলোর নাম ঠিক করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে যে এলাকায় এই ভেসেলগুলি চলবে নামকরণের ক্ষেত্রে সেখানকার স্থানীয় সংস্কৃতির কথাও মাথায় রাখা যাবে। গঙ্গাদূষণ কমাতে ভবিষ্যতে ই-ভেসেল বা বৈদ্যুতিন জলযান নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। তারই অংশ হিসাবে নামানো হচ্ছে নতুন ২২ ভেসেল।