পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পার্থ গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বঙ্গ বিভূষণ পুরস্কার প্রধানের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জীবন ভোগ করার জন্য আমি রাজনীতি করিনি। দুর্নীতি সমর্থন করব না। টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দোষী হলে সত্যি প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করেও মমতা বলেন, ‘কেউ চোর ডাকাত হলে তৃণমূল কেয়ার করে না৷ এমএলএ, এমপি, মিনিস্টার কাউকে রেয়াত করি না৷ বিচারে প্রমাণিত হলে দোষী প্রমাণিত হলে তার দায়িত্ব সে নিজে নেব। সেটা দলের দায়িত্ব নয়।’
কিন্তু অযথা আমার গায়ে কালি ছিঁটোলে আলকাতরা আমার হাতেও আছে৷ ওয়াশিং মেশিনে জামাকাপড় পরিষ্কার হতে পারে, আলকাতরা হয় না৷’
মমতা প্রশ্ন তোলেন, ওড়িশার এইমসে কেন নিয়ে যেতে হল? তাঁর দাবি, এসএসকেএম বা পিজি গোটা ভারতের মধ্যে এক নম্বর হাসপাতাল। আছে মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, সাগর দত্ত কিংবা শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল। রাজ্য সরকারের অধীন সে সব হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে কেন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল, সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের যেখানে ছোঁয়া আছে, তাই ইএসআই হাসপাতালে যেতে হবে। ইনটেনশনটা কী? ওড়িশায় নিয়ে যেতে হবে, বাংলায় কি কিছু নেই? এটা কি বাংলার অসম্মান নয়?’ ক্ষোভের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রের সব সাধু আর রাজ্যগুলো চোর? মনে রাখবেন রাজ্যগুলোর জন্যই আপনারা বেঁচে আছেন।’
মুখ্যমন্ত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম না করে বলেন, কে কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার দায়িত্ব আমার নয়। একজন মহিলার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, আমি চাই সঠিক বিচার হোক।
মুখ্যমন্ত্রী আরও সোচ্চার হয়ে বলেন, একজন মেয়ের জন্য সব মহিলাদের অপমান করা হচ্ছে।
ফের ষড়যন্ত্রের তত্ত্বের দিকে ইঙ্গিত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুঃখিত, মর্মাহত, যে এমন ঘটনা ঘটেছে৷ ঘটনাটা আদৌ ঘটেছে কি না তা বিচারব্যবস্থা ঠিক করবে৷ বিচার ব্যবস্থার রায় আমাদের দল মেনে নেবে৷ আমরা বিত্তবান চাই না, বিবেকবান চাই৷ আমাদের দল স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে তৈরি হয়েছে।