পুবের কলম প্রতিবেদক, হাওড়া: এনটিসি বাঁচানোর দাবিতে হাওড়ার দাসনগর আরতি মিলের গেটের সামনে মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ট্রেড ইউনিয়নের তরফ থেকে এদিন ওই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সভায় বক্তব্য রাখেন। আইএনটিটিইউসি, আইএনটিইউসি, সিটু সহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন। আরতি কটন মিলের পূর্ণ উৎপাদন চালু, কেন্দ্রীয় কাঠামো অনুযায়ী বেতন, অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের দাবিতে বিক্ষোভ হয়। দেশব্যাপী ২৩টি এনটিসি মিলে অবিলম্বে পুরোদমে উৎপাদন চালু করার দাবিতে সোচ্চার হন বক্তারা।
এদিন সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি দেশের সর্বনাশ করে দিয়েছে। এখানে সিপিএম ছিল, টিএমসি এসেছে। এখানে বিজেপির ছোঁয়া মানেই অনিষ্ট হওয়া। বিজেপি আসার পর থেকেই ভারতবর্ষ সম্পূর্ণ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু বাংলায় ঢুকতে পারছে না সেহেতু এরা চাইছে যেভাবে হোক অসুবিধায় ফেলা। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করতে হবে। মিলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ না হলে কোনও লাভ নেই। কাল বা পরশু তাদের তাড়িয়ে দিতে পারে কারখানা থেকে। কোভিড পরিস্থিতিতে অর্ধেক বেতন দেওয়া হচ্ছে শ্রমিকদের। এটা ব্যক্তিগত বা দলগত কোনভাবেই মানা যাচ্ছে না। এই ইস্যুতে সব দলই এককাট্টা হয়েছে। সব দল মিলে লড়াই করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বিজেপি একটা বাজে পার্টি। এরা ভারতবর্ষকে বেচবে। এবার দেশের আকাশটাকেও বেচে দেবে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলবে।
এদিনের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা জগন্নাথ ভট্টাচার্য্য জানান, প্রথম থেকেই আরতি কটন মিলের অবস্থা খুব খারাপ। কোনো পরিকল্পনা নেই। ২০১১ সালে আধুনিকীকরণের যে পরিকল্পনা করা হল তাও ভালভাবে গ্রহণ করা হল না। বিজেপি সরকার আসার পর এই মিলের শ্রমিকদের স্বার্থ তারা দেখছে না। হাওড়া একটা শিল্পনগরী। এখানে একাধিক কারখানা বন্ধ করে রিয়েল এস্টেট করার চেষ্টা চালাচ্ছে। লকডাউনের পর এই মিলের শ্রমিকদের অবস্থা বিভীষিকাময়। তারা বোনাস পাননি। এ বছর লকডাউনের পর ১৫ থেকে ১৬ দিন কাজ করতে দিচ্ছে। বেতন খুব কম। তাই দাবি উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারি স্কেলে এদের বেতন দেওয়া হোক, স্থায়ীকরণ করা হোক, এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু হোক এবং বকেয়া বেতনও অবিলম্বে দিতে হবে।
আইএনটিইউসির পক্ষে মানস বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আমরা বিষয়টি সাংসদ অধীর চৌধুরীকেও জানাব। যাতে করে তিনি বিষয়টি সংসদে তোলেন।