পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : আজকের যুগে ডায়াবিটিস একটি সাধারণ অসুখ।ছেলে-বুড়ো, পুরুষ-নারী, রোগা, মোটা কেউই এর থেকে বাদ যাচ্ছেন না।রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এমন খাবার খাওয়া প্রতিটি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অপরিহার্য। কারণ এমন খাবারের প্রয়োজন সকলেরই যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
হলুদ: হলুদ রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর পাশাপাশি শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা বহু ক্ষেত্রে কিডনির সমস্যায় ভোগেন। এই রোগে নিয়মিত হলুদ সেবনের মাধ্যমে সবচেয়ে ভালোভাবে উপকার পাওয়া যায়।
বাদাম: বাদাম ফাইবার এবং হজমযোগ্য কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ। যা প্রদাহ কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বাদাম, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভালো খাবার, কারণ বাদাম প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
সবুজ শাকসবজি: পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি প্রতিদিন খাওয়া উচিত । কারণ এতে উচ্চ পুষ্টিগুণ রয়েছে। এগুলি ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর। একই সঙ্গে এতে ক্যালোরিও কম।এই সবজিগুলিতে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে থাকে। যা ডায়াবেটিস রোগীদের ছানি দূর করার মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।
চর্বিযুক্ত মাছ: চর্বিযুক্ত মাছ স্বাস্থ্যকর খাবারগুলির মধ্যে গণ্য হয়। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের সমৃদ্ধ। এই ওমেগা থ্রি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সার্ডিন, স্যামন, ম্যাকেরেল ফ্যাটি মাছের কয়েকটি উদাহরণ। যা অন্তত দুবার খাওয়া উচিত।
ডিম: ডিম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সকালের নাস্তায় খাওয়া হয় ডিম। ডিম হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে, শরীরে HDL মাত্রা (ভাল কোলেস্টেরল) বাড়ায়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল: অলিভ অয়েলে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট (MUFA) রয়েছে যা HDL এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা ভালো রাখতে কার্যকরী।পরিমিত পরিমাণে খাওয়া অলিভ অয়েল হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে বলেও জানা যায়।
দারুচিনি: দারুচিনি এমন এক ধরনের মশলা যা প্রতিটি খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে। স্পষ্টতই এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ হওয়ায় এটি একজন ব্যক্তির ইনসুলিনের পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
ঘন টক দই: ঘন টক দই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। এতে উচ্চ মাত্রায় প্রোবায়োটিক, ক্যালসিয়াম এবং CLA রয়েছে। তবে সাধারণ দইয়ের থেকে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরী গ্রিক টক দই বেশি উপকারী। গ্রিক টক দই সাধারণ দইয়ের থেকে আরও ঘন।সাধারণ দই বানাতে যে পরিমান দুধ লাগে গ্রিক দই বানাতে তার থেকে বেশি পরিমাণ দুধ লাগে।