পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। ফাটানো যাবে পরিবেশ বান্ধব বাজী।
তবে অপব্যবহার বন্ধে রাজ্যকেই নিতে হবে ব্যবস্থা। নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আগেই জানিয়েছিল নির্দিষ্ট সময় বিধি মেনে আতশবাজী ফাটানো যাবে, তবে শব্দবাজী কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। এমনকি দীপাবলি থেকে বর্ষবরণ নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়।
তবে গত ২৯ অক্টোবর দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট রায় দেয় যেকোন ধরনের বাজী ফাটানো বা পোড়ানো নিষিদ্ধ।
করোনা আবহে বাজী ফাটালে আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি সদ্য করোনা মুক্তরাও ফের অসুস্থ হয়ে পড়বেন বিষাক্ত ধোঁয়ায়। এমনটাই জানিয়েছিল হাইকোর্ট। এমনকি জনগণের জীবনের থেকে অন্যকিছুই বড় নয়, সেই কথাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
উৎসবের মরসুমে বাজী নিষিদ্ধ হলে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৩৩ লক্ষ বাজী ব্যবসায়ীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে এই মর্মে পাল্টা মামলা দায়ের করেন বাজী ব্যবসায়ীরা।
এরপর উভয়পক্ষের সওয়াল জবাবের পর শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে পরিবেশ বান্ধব বাজী ফাটাতে হবে।
বেরিয়াম সমৃদ্ধ বাজী ফাটানো যাবেনা। এইদিন বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার আওতায় কারও সুস্বাস্থ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা যায় না। প্রবীণ নাগরিক, শিশু-সহ অপরজনের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না কাউকে। তবে শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘এটা পরিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে যে বাজি ব্যবহারের উপর পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা নেই। শুধুমাত্র সেইসব বাজি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে (বেরিয়াম সমৃদ্ধ বাজি), যা নাগরিকদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক তা ফাটানো যাবেনা। কিভাবে শব্দবাজি পোড়ানো বন্ধ করা যাবে তা নজরদারি করার দায়িত্ব পুলিশের ওপরেই ন্যস্ত করেছে শীর্ষ আদালত।