পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: চারদিনের সফরে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার এই ভারত সফর ঘিরে রাজ্য রাজনীতির স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে। একাধিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যার মধ্যে অন্যতম হল ত্রিপুরা ইন্টিগ্রেড চেকপোস্ট নিয়ে আপত্তি সহ একাধিক ইস্যু। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়েও দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা।
চারদিনের সফরে আগামী ৫ সেপ্টেম্বরে ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা। ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হাসিনার সাক্ষাৎ হবে বলে সূত্রের খবর।
এই প্রসঙ্গে শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের বিশেষ সচিব অভিষেক চন্দ্র সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘বাংলাদেশের আপত্তির কারণে দক্ষিণ ত্রিপুরার মুহুরিঘাটে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট বা আইসিপি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন।’
আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রবেশ ও বাহির পথে অভিবাসন ও কাস্টমস বিভাগের কাজের জন্য আইসিপি তৈরি করা হয়ে থাকে।
চন্দ্র বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সঙ্গে বন্দর সংযোগে সহায়তা করতে গত বছরের ৯ মার্চ মোদি ফেনী নদীর উপর ‘মৈত্রী সেতু’ উদ্বোধন করেন। তবে সে দেশে নদীর ওপারে একটি স্থল শুল্ক স্টেশন তৈরি না হওয়ায় বাণিজ্য এখনও শুরু হয়নি। অভিষেক চন্দ্র বলেন, আমাদের আশা দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে এই বৈঠকে মাতৃ সেতুর বিষয়টি স্থান পাবে’।
এর পাশাপাশি অভিষেক চন্দ্র বলেন, দুটি সীমান্ত হাট, দক্ষিণ ত্রিপুরার শ্রীনগর এবং সেপাহিজলা জেলার কমলাসাগর, করোনা মহামারির কারণে বন্ধ ছিল বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। ওই হাট দুটি দ্রুত খুলে দেওয়া হবে।
১৭ আগস্ট থেকে সেপাহিজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার শ্রীমন্তপুর আইসিপি হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে ত্রিপুরায় পণ্য পরিবহনের ট্রায়াল রান শুরু করা হয়েছিল।
অভিষেক চন্দ্র জানিয়েছেন, ‘এই পথে আমরা নিয়মিত পণ্য পরিবহণ চালিয়ে যেতে চাই।’ দুই রাষ্ট্রপ্রধানের আলোচনা কতটা সদর্থক হয় সেটাই এখন দেখার।