পুবের কলম প্রতিবেদক: মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারক সংস্থার মূল মাথাকে ধরতে চায় পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। তাই একটা অফিসের সব কর্মীকেই থানায় তুলে আনে পুলিশ। এমনই ঘটনা ঘটেছে খোদ কলকাতার বুকে। কলকাতা থেকে গ্রেফতার হন কল সেন্টার প্রতারণা চক্রের ১২জন কর্মী। আর এই পর্দা ফাঁস করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দা ধর্মদেব মণ্ডল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করে বলেন, এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল। সেই ব্যক্তি নিজেকে মোবাইল টাওয়ার ইনস্টলেশন কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ বলে পরিচয় দেয়।
সেই ব্যক্তি অভিযোগকারীকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে তার জমিতে টাওয়ার বসানো হবে। এরপরই তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নথি তৈরির কথা বলে টাকা নিতে থাকে ওই চক্র। প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা জমা দেন অভিযোগকারী। তারপর বুঝতে পারেন প্রতারিত হচ্ছেন। তড়িঘড়ি তিনি বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হন।এদিকে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
পুরো ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ গত ৯ তারিখ রাজারহাটের বাসিন্দা নিরুপম মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসবাদ করে পুলিশ জানতে পারে টাওয়ার বসানোর নামে প্রলোভন দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ তৈরির অফিস রয়েছে কলকাতা পুলিশের অধীনস্থ ফেয়ারলি প্লেস এলাকায়। সেখানে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে ৭ জন মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। অভিযোগ, এই অফিসে ভুয়ো কল সেন্টার চালু করে সাধারণ মানুষদের টাওয়ার বসানোর নামে চলত প্রতারণা চক্র। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।