পারিজাত মোল্লা: চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে স্কুল বিষয়ক মামলা। স্কুল আছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন, অথচ নেই পড়ুয়া! এই ধরনের একাধিক স্কুলের হদিশ পূর্ব বর্ধমান জেলায় পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন যে, স্কুলগুলিতে লাইট জ্বালাতে আসার লোকও নেই। পঠন-পাঠন তো হয়েই না, উল্টে শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন।
এই ধরনের স্কুলগুলির তালিকা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।আদালত সুত্রে প্রকাশ, পূর্ব বর্ধমানের জোতগ্রাম সাতগাছিয়া এলাকায় এই ধরনের এক স্কুলের খোঁজ মিলেছে। বছর দু’য়েক ধরে এমন অবস্থাই চলছে সেখানে। জানা গিয়েছে, চার বছর আগে এই স্কুলে পড়ুয়া ছিল দশ মতো। তার পরের বছর পড়ুয়া সংখ্যা কমে দাঁড়ায় চার।
গত দু’বছর ধরে স্কুলে কোনও পড়ুয়া নেই। কিন্তু শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন না পড়িয়েই!তবে এক ইংরেজির শিক্ষিকা জেলারই অন্য কোনও স্কুলে বদলি চেয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) কাছে আবেদন করেছিলেন বলে খবর। তবে সুরাহা না মেলায় তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
এই মামলাতেই বিচারপতি বিশ্বজিত্ বসু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন।এই মামলার শুনানিতে শিক্ষিকার পক্ষের আইনজীবীর কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ওই শিক্ষিকাকে ‘উদ্বৃত্ত’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এরপরই তিনি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে এই ইস্যুতে জবাব তলব করেন। কিন্তু সেইভাবে আশানুরুপ কোনও উত্তর আসেনি। সবশেষে জেলায় এমন কতগুলি স্কুল রয়েছে, যেখানে পড়ুয়া নেই অথচ শিক্ষক রয়েছেন, সেই তালিকা তলব করেন বিচারপতি বসু। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর সেই তথ্য কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে জমা দিতে হবে পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিআইকে বলে জানা গেছে ।