পুবের কলম প্রতিবেদক: এবার স্বাস্থ্য কমিশনের আদলে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে শিক্ষা কমিশন। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তে সীলমোহর দিয়েছে।
বেসরকারি স্কুলগুলির ফি স্ট্রাকচার নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সাম্প্রতিক অতীতে এই নিয়ে বিভিন্ন স্কুলের অভিভাবকদের বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। সেই সময় থেকেই শোনা যাচ্ছিল বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। সেইমতো এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভা নয়া শিক্ষা কমিশন গঠনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বাস্থ্য কমিশনের কায়দায় এই কমিশনের মাথাতে বসবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য সরকারের অনেক নির্দেশ মানছে না বেসরকারি স্কুলগুলির একাংশ।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে নির্দেশ দেন রাজ্যে শিক্ষা কমিশন গঠন করা যায় কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে। সাম্প্রতিক সময় দেখা গিয়েছিল গরমের ছুটি কার্যকর করা নিয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করছে বেসরকারি স্কুলগুলি। তা নিয়েও বিতর্ক হয়। ফলে সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মনে করা হচ্ছে বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নয়া শিক্ষা কমিশন গঠনের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার।
এক্ষেত্রে প্রাথমিক গঠন পদ্ধতি নিয়ে যতটুকু জানা গিয়েছে ১১ সদস্যের এই কমিশনের মাথায় থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। তবে সেই পদে কে বসতে চলেছেন তা এখনও নির্দিষ্ট নয়। যতদূর জানা যাচ্ছে তাতে খুব শীঘ্রই শিক্ষা কমিশন গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তারপরেই এই পদে কাকে বসানো হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মূলত এক্ষেত্রে শিক্ষা কমিশনের কার্য পদ্ধতিও হবে যেভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন কাজ করছে একই পদ্ধতিতে। দেখার এই কমিশন গঠিত হওয়ার পর সি বৃদ্ধি নিয়ে যে দীর্ঘদিনের অভিযোগ তা কতদূর প্রশমন করা যায়।