সুমিত দে: কালিয়াগঞ্জের ছায়া এবার মালদায়। অজ্ঞাত পরিচয় এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের অনুমান গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।উপযুক্ত তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। মালদার কালিয়াচক থানার আকুন্দবাড়ীয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উজিরপুর গ্রামে চাষ করা ঝিঙ্গার জমি থেকে এক নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়েছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। নাবালিকার বয়স ১২ থেকে ১৪ বছর। স্থানীয়রা নাবালিকার দেহ চাষের জমিতে দেখতে পায়। খবর দেয় পুলিশকে। স্থানীয়দের অনুমান গণধর্ষণ করে করে খুন করা হয়েছে। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ দেখান তারা। তবে ওই মেয়েটি তাঁদের গ্রামের কেউ নই বলে জানা গেছে। দুষ্কৃতীরা তাকে বাইরে থেকে নিয়ে এসে গণধর্ষণ করে খুন করেছে এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কালিয়াচক থানার পুলিশ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্রশেখর মন্ডল বলেন,সকাল বেলা এই ঘটনা আমাদের নজরে আসে।মনে হচ্ছে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।আমরা আতঙ্কে রয়েছি।পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক। স্থানীয় বাসিন্দা রঞ্জন মাহাতো বলেন, মনে হচ্ছে এই মৃতদেহ স্থানীয় কারোর নয়।ঠিক চেনা যাচ্ছে না। দুষ্কৃতীরা বাইরে থেকে এনে হয়ত এখানে ফেলেছে।তদন্ত হলে বোঝা যাবে।যারা জড়িত আছে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে কালিয়াগঞ্জ গণধর্ষণ কান্ডের ঘটনায় উত্তাল সারা রাজ্য। নারী সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।তারই মাঝে মালদার এই ঘটনা। তবে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কি না? মৃতদেহ টি কার? কে বা কারা জড়িত রয়েছে? সমস্তটাই এখনও ধোঁয়াশা তে। তদন্ত শুরু হলেই সবটা সামনে আসবে।