পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যে পালাবদলের পর বেড়েছে কৃষকদের আয়। চাষবাসকে উন্নতকে করতে নানান প্রকল্প নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হল কৃষকবন্ধু। এর মাধ্যমে চাষিদের আর্থিক সহায়তা করা হয়।
এবার প্রকৃত চাষিদের কাছ থেকেই ধান কেনা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের চালু করা কৃষকবন্ধু প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত না থাকলেও সরকারের কাছে ধান বিক্রি করা যাবে। তবে কৃষকরা কবে ও কোথায় ধান বেচবেন, তা তিনিই ঠিক করবেন এবং সংশ্লিষ্ট কৃষককেই অনলাইনে বুকিং করতে হবে।
কৃষকদের সুবিধা করতে ১৯ জুলাই থেকে ধানের ক্রয়মূল্য বাড়িয়ে কুইন্ট্যাল প্রতি ২,১৮৩ টাকা করা হয়েছে। একজন কৃষক গোটা মরশুমে মোট ৯০ কুইন্ট্যাল পর্যন্ত ধান সরকারের কাছে বেচতে পারবেন। আগে এই ™রিমাণটা ছিল ৪৫ কুইন্ট্যাল। জেলার প্রতিটি ক্রয় কেন্দ্রে চাষিরা ধান বিক্রি করতে পারবেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও ভাবেই ফড়েরা এসে ধান বিক্রি করতে না পারে তার জন্য এবার কড়া পদক্ষেপ করল সরকার।
এ নিয়ে রাজ্যের খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি, গত মরশুমে বহু চাষি ক্রয়কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে না পেরে ফড়েদের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এখন আড়তদার বা ফড়েদের কাছেই বিপুল পরিমাণ ধান মজুত রয়েছে। তারা এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে। এখন রাজ্য সরকার কুইন্ট্যাল প্রতি কুইন্ট্যাল ধানের দাম দিচ্ছে ২,১৮৩ টাকা। আগে সেটাই ছিল ২,০৪০টাকা। আগে কৃষকেরা সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্ট্যাল ধান বিক্রি করতে পারতো।
ফলে আগের মরশুমে ধানের ভাল দাম না পেয়ে অনেকেই যেমন ফড়েদের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছে, তেমনি ৪৫ কুইন্ট্যালের বেশি ধান বিক্রি করতে না পেরেও ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে। রাজ্য সরকার ধানের সহায়কমূল্য বাড়িয়েছে যাতে বাংলার চাষিরা তাদের উৎপাদিত ফসলের বেশি দাম পান।
ফড়েদের বাগে আনতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজ্যের খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি, ফড়েদের ঠেকাতে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, বৈধ নথি ছাড়া ধান কেনা যাবে না। ফড়ে বা দালালরা ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে পারবেন না। স্থায়ী ধানক্রয় কেন্দ্র, সরকারি ধানক্রয় কেন্দ্র অথবা মোবাইল ধানক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করলে মিলবে ২ হাজার ২০৩ টাকা। সরকার ধান কিনবে শুধুমাত্র রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ও রাজ্যের অন্যান্য প্যাকেজে প্রকল্প চাল বণ্টনের জন্য। সরকার ধানের সহায়ক মূল্য বাড়ানোয় সেই সব চাষিরা লাভবানই হবেন।