পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘রামচন্দ্রের জয়’ বলে বক্তব্য শুরু প্রধানমন্ত্রীর। মোদি বলেন, শতাব্দীর পর শতাব্দীর অপেক্ষার অবসানে আমাদের মধ্যে এলেন রাম। অনেক কথা বলার আছে, কিন্তু আমাদের কন্ঠ অবরুদ্ধ।আমাদের মন ওই মুহূর্তেই আটকে আছে। প্রভু রামের আশীর্বাদ আমাদের সকলের আছে। ২২ জানুয়ারি, ২০২৪ এর সূর্য আমাদের জীবনের এক নতুন আভা নিয়ে এসেছে। রামমন্দিরের ভূমিপুজোর পর থেকে গোটা দেশজুড়ে ছিল শুধু উচ্ছ্বাস। দেশের মানুষের মধ্যে এক নতুন বিশ্বাসের জন্ম নিয়েছে। আজ আমাদের প্রতীক্ষা অবসান। আজ থেকে বহু দশক পরেও মানুষ আজকের দিনটিকে মনে রাখবে। আজ চতুর্দিকে উন্মাদনায়। এটি কোনও সামান্য সময় নয়। ২২ জানুয়ারি শুধু একটি তারিখ নয়, নয়া কালের সূচনা। রামলালা আর তাঁবুতে নয়, মন্দিরে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তপস্যায় খামতি ছিল, তাই এত শতাব্দী লেগে গেলো। প্রভু রাম নিশ্চয় আমাদের ক্ষমা করবেন।
মোদি বলেন, গর্ভগৃহে ঈশ্বরিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকলাম।প্রভু রামকে নিয়ে রামকে আইনি লড়াই চলেছে। ন্যায়বিচারের বিচারব্যবস্থার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আজ সব জায়গায় রামনাম ছেয়ে আছে। আজ ভারতবাসী অন্তরআত্মায় রাম বিরাজমান। সাগর থেকে সরযূ পর্যন্ত আজ শুধুই রামনাম। আজ এক নতুন ইতিহাসের সূচনা করল দেশ। এই কয়েকদিন বিভিন্ন ভাষায় রামায়ণ শুনতে পেয়েছি। শ্রীরামের শিক্ষা, মূল্য, আদর্শ সব দিকে বিরাজমান। রাম শুধু আমাদের নয়, রাম সকলের। রাম শুধু বর্তমান নয়, রাম অনন্ত। আজ বিনয়ের দিন, বিজয়ের দিন। রাম বিবাদ, সমাধান আগুন নয়, রাম শক্তি। আজকের শুভদিন দেখতে পেয়েছি, কর সেবকদের কাছে ঋণী। কেউ কেউ বলেছিলেন রাম মন্দির নির্মাণ হলে আগুন জ্বলবে, তারা ভারতের সরূপ চেনে না। আজ শুধু রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা নয়, ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি আজ বিশ্বাসের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা সংকল্প নিই, রাষ্ট্রের প্রতি নিজেদের সমর্পণ করব। লক্ষ্য সত্যি হলে, প্রাপ্তি অসম্ভব নয়। এটা ভারতের সময়, ভারত এগিয়ে যাবে।