পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: করোনার দাপট কমতে না কমতেই দেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। প্রায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত মানুষ। সেই সঙ্গে গা-হাত পা ব্যথা থেকে শ্বাসকষ্টের শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। করোনার দাপট কমতেই রাজ্যবাসী মাস্ক-স্যানিটাইজারকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু ফের মাস্কের জমানা ফের ফিরবে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশে সাম্প্রতিক কালে হঠাৎই মারণ এক নতুন ভাইরাসের প্রকোপের দেখা মিলছে৷
সেটিকে বলা হচ্ছে H3N2 ভাইরাস৷ আর তাতেই নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক সপ্তাহের বিচারে বেড়েছে ৬৩ শতাংশের কাছাকাছি৷ যা আতঙ্কের পাশাপাশি চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে।
ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারনাল মেডিসিন অ্যান্ড রেসপেরেটোরি অ্যান্ড স্লিপ মেডিসিন বিভাগ ও ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশনের চেয়ারম্যান রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, প্রতি বছর এই ভাইরাস নিজের রূপ পরিবর্তন করে৷ এবারেও তা করেছে৷জ্বর, সর্দি, কাশি, দীর্ঘদিন গলা ঠিক না হওয়ার বিযষয়টি এর সঙ্গে সম্পর্কিত৷
সারা দেশের জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব দেখতে পাচ্ছি৷ গলা ব্যথা, কাশি, নাক থেকে জল পড়ার মতো সমস্যাও দেখা দিচ্ছে৷ এই সময়ে এরকম জ্বর প্রতিবছরই দেখা যায়৷ বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় বহু মানুষ এই জ্বরে আক্রান্ত হন৷ কিন্তু এই ভাইরাসও ক্রমাগত রূপ পাল্টাতে থাকে৷ এটিকে অ্যান্টিজেনিক ড্রিফ্ট বলে৷’’ তাই উৎসবের সময় তো বটেই ফের মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের কো-মর্বিডিটি তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। জমায়েত, ভিড় থেকে দূরে থাকাই ভালো।