শুভজিৎ দেবনাথ, ধূপগুড়ি: মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে চলছে আহত রোগীর সেলাই কাজ। এমনই ভয়ঙ্কর ছবি ধরা পড়ল ক্যামেরায়, বিতর্কে ধুপগুড়ি হাসপাতাল। মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে চিকিৎসার ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। আচমকা লোডশেডিং হলে নেই ইমারজেন্সিতে আলোর ব্যবস্থা বলে অভিযোগ। একটি ছবিতে ধরা পড়েছে জরুরি বিভাগে দুর্ঘটনায় আহত রোগীর সেলাই কাজ চালাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, আচমকাই অন্ধকার ছেয়ে গেল হাসপাতালজুড়ে। অগত্যা রোগীর সঙ্গে থাকা তার বন্ধু মোবাইলের ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে দিলেন স্বাস্থ্যকর্মীর সেলাই কার্য চালানোর জন্য। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
লোডশেডিং হলে নেই ইমারজেন্সিতে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা। তাই মোবাইলে ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে চলছে দুর্ঘটনায় আহত যুবকের ক্ষতস্থান সেলাই করার কাজ। এমন কাজগুলি লোডশেডিং হলে কখনো মোমের আলোতে কখনোবা মোবাইলে ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে ধূপগুড়ি হাসপাতালে কাজ চলে, এমনই অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের ।সোমবার ধূপগুড়ির লালস্কুল এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় আহত হয় দুই যুবক। তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। তাঁরা চিকিৎসা করাতে এসে এমনই ঘটনার স্বীকার বলে অভিযোগ।
যদিও এই বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুরজিৎ ঘোষের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,”হাসপাতালে লোডশেডিং হলে জেনারেটর এর ব্যবস্থা রয়েছে। মাঝেমধ্যে লোডশেডিং হয় তবে জেনারেটরের আলোয় সব কাজ সম্পন্ন করা হয়। লোডশেডিং ও জেনারেটর চালু করার মাঝে সময়টুকুতে হয়তো মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে কাজ করা হয়েছে। হাসপাতালে পরিকাঠামোগত কোন সমস্যা নেই। “