পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কলকাতার ফুটপাতে যাতে আশ্রয়হীনদের ঠান্ডায় কষ্ট পেতে না হয় তার জন্য শহরে বেশ কয়েকটি নাইট শেল্টার রয়েছে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই সমস্ত নাইট শেল্টারে আশ্রয় পেয়েছেন অনেক আশ্রয়হীন মানুষ। তবুও, রাতের শহরে ফুটপাথ দখল করে পরিবার নিয়ে বাস করছে কিছু মানুষ। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মতে এরা আসলে ‘স্ক্র্যাপ ডিলার্স’ এবং ‘স্ক্র্যাপ সাপ্লায়ার্স’। রাতের শহরে ফুটপাথ দখল করে এরা রমরমিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শনিবার পুরসভায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র জানান, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি নিজে শহরের বেশ কিছু জায়গায় যান এবং স্বচক্ষে দেখেন এই বিষয়টি।
ফিরহাদ বলেন, কলকাতার রাস্তায় অদ্ভুতভাবে রাত্রিবেলা কিছু মানুষ পরিবার নিয়ে থাকছে। আমি একটু গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করে দেখলাম এরা ‘র্যা গ পিকার্স'(ন্যাকড়া সংগ্রহকারী) নয়, এরা হচ্ছে ‘স্ক্র্যাপ সাপ্লায়ার'(কাঠ-কুটো, কাগজ সরবরাহকারী। বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঠ-কুটো, কাগজ সংগ্রহ করে ফুটপাথ দখল করে এবং সেগুলো পাহারা দেওয়ার জন্য থাকে আর রাত্রিবেলা এই সমস্ত জিনিষ লোডিং-আনলোডিং হয়। যাতে মানুষের সহানুভূতি পাওয়া যায় সেজন্য তারা বাচ্চা নিয়ে, পরিবার নিয়ে থাকে কিন্তু তারা আদতে স্ক্র্যাপ ডিলার্স।
তিনি আরও বলেন, আমি পুলিশ কমিশনারকে একটা চিঠি দিয়ে জানাব যারা বাচ্চা নিয়ে আছে, তাদের কাছাকাছি একটা নাইট শেল্টার দেখে যেন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফুটপাথ দখল করে এভাবে কাঠ-কুটো, কাগজ সংগ্রহ করে ব্যবসা করা অন্যায়। মানুষের যাতায়াত ব্যহত হয়। এদের জন্য যদি একজন মানুষের দূর্ঘটনায় পা চলে যায়, সেটা অন্যায়। এর বিরুদ্ধে যৌথভাবে পুলিশ এবং পুরসভা পদক্ষেপ নেবে।
মেয়র আরও বলেন, আলিপুর রোড, সাউদার্ন অ্যাভিনিউ মোড়ে, গুরুদ্বোয়ার পার্ক, মহম্মদ আলি পার্কে এধরণের ঘটনা আমার চোখে পড়েছে। কিছু জায়গায় যেমন মডার্ন হাই-এর উল্টোদিকে রাস্তার উপর একেবারে ঘর বেঁধে মানুষ থাকছে। আমাদের দেখতে হবে এরা কারা? আমার শোনা কথা যে এখানে বেআইনি কাজও হয়। আমরা সহানুভূতির সঙ্গে পুলিশ কমিশনারকে যে সমস্ত জায়গায় নাইট শেল্টারে বেড খালি আছে তার তালিকা দিয়ে দিচ্ছি।