পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ভারতের অসহায় মুসলিম সম্প্রদায় তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের হেনস্থা, বিদ্বেষ, অপমান রুখতে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯-এর ধারা অনুযায়ী একটি আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে, যাতে তারা দিনের পর দিন বিভিন্ন অপবাদ থেকে রক্ষা পায়। উত্তরাখণ্ডের মুসলিম সেবা সংগঠনের সভাপতি নাইম কুরেশি দাবি করেন, এসসি-এসটি আইনের আদলে ‘মুসলিম আইন’ প্রণয়ন করা উচিত এবং যারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অবমাননাকর গালি ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে মামলা করা উচিত। গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শত শত মুসলমান ২০২১ সালের ৩ অক্টোবর দেরাদুনে একটি বিক্ষোভ করেছে৷ সেখানে ঘৃণামূলক বক্তব্যের মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ করেছে এবং সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শহরটির কাজী মুহাম্মদ আহমদ কাসেমি বলেন, সরকারের কর্তব্য হচ্ছে তার প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা৷ কিন্তু মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ বেড়েই চলেছে৷
বিক্ষোভকারীরা দাবি করে যে, সরকার মুসলমানদের বারবার শিকারে পরিণত করছে৷ এমনকি কিছু সম্মানিত আলেমদেরও বিনা কারণে টার্গেট করা হচ্ছে৷ নাইম কুরেশি দাবি করেন, আলেম কলিম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ধর্মান্তরণ র্যাকেট চালানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গ্রেফতারি অবৈধ। তিনি বলেন, সংবিধানের ২৫ নং অনুচ্ছেদ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে তার ধর্ম প্রচারের অনুমতি দেয়৷ কিন্তু মুসলমানদের এই ধরনের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগ করার অনুমতি নেই দেশে৷ তিনি মুসলমানদের মব লিঞ্চিং বন্ধ করতে গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করার দাবি জানান। গোরক্ষকরা গরু রক্ষার জন্য মুসলমানদের হত্যা করছে৷ তিনি বলেন, একে থামাতে হলে গরুকে জাতীয় পশু হিসেবে ঘোষণা করা উচিত এবং সারা দেশে গরু হত্যা নিষিদ্ধ করা উচিত। যাইহোক, সরকার তা করছে না বা গোয়া এবং উত্তর -পূর্বের রাজ্যগুলিতে যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে তারা মাংস খাওয়াও নিষিদ্ধ করছে না। এটাকে সরকারের দ্বৈত অবস্থান বলা যেতে পারে৷ মুসলমানরা বর্ণবিদ্বেষ, হিংসার হুমকি সহ্য করে বেঁচে রয়েছে৷ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হয়রানির প্রচারণার মাধ্যমে তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।