পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: কন্যাসন্তান হলেই সুসজ্জিত, আলোকোজ্জ্বল করা হয় হাসপাতাল চত্বর। কাটা হয় কেক, বিতরণ করা হয় মিষ্টি। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তরফ থেকে ‘গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন’ এর আয়োজন করা হয়।
এমনকি ডিসচার্জ এর পর সাজানো-গোছানো সুদৃশ্য অটোরিকশায় করে মা ও সদ্যোজাতকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
অবাক করার মতো আরও এক বিষয় হল, কন্যাসন্তান জন্মালে নেওয়া হয়না এক আনাও। ভ্রূণ হত্যা রুখতে অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছেন পুণের এক চিকিৎসক। শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি।
পুণের হাদাপসর এলাকায় ওই চিকিৎসকের একটি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল তথা প্রসূতি ক্লিনিক রয়েছে। যেখানে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৪০০ এরও বেশি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছেন। এবং প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই এই উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দেশে ভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপে মুগ্ধ নেটিজেন। প্রায় ১১ বছর আগে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন গণেশ রাখ নামক ওই চিকিৎসক।
সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক গণেশ রাখ জানান, ২০১২ সালে এই ঘটনা শুরু হওয়ার আগে আমি নানান রকম , নানান বিচিত্র ঘটনার সাক্ষী থেকেছি। আমি দেখেছি কন্যা সন্তান জন্মালে তার পরিবার থেকে অনেকেই তাকে দেখতে আসতো না। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়া যেন পাপ, সমাজের এই মানসিকতা কে পরিবর্তন করতে আমার এই প্রয়াস।