পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ অযোধ্যায় দীপাবলি উৎসবের সূচনা করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বললেন– বিজেপির সরকারের সঙ্গে অন্য সরকারের পার্থক্য হচ্ছে– পূর্বতন সব সরকার শুধু কবরে প্রাচীর দেওয়ার জন্য সরকারি অর্থ খরচ করত। আমার সরকার মন্দির গড়তে– মন্দিরের সৌন্দর্যায়ন এবং সংস্কারে অর্থ খরচ করে। যারা কবরিস্তান ভালোবাসে তারা তার জন্য সরকারি অর্থ খরচ করে। অন্যদিকে যারা ‘ধর্ম এবং সংস্কৃতি’ ভালোবাসে তারা ধর্ম এবং সংস্কৃতির উন্নয়নে অর্থ খরচ করে। বিজেপি সরকারের সঙ্গে আগের সব সরকারের এখানেই চিন্তা-ভাবনার বড় ফারাক।
এর আগে ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভাষণে বলেছিলেন– ‘কবরিস্তান গড়া হলে পাশাপাশি একটা শ্মশানও গড়া উচিত’। তিনিও এইভাবে দুই সম্প্রদায়ের কথা বিরোধিতার আবহে উসকে দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ প্রায় একই ভাষায় সেই কথাই ফের তুলে ধরলেন। এবারও আর কয়েক মাস পরে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন– ১৯৯০ সালে সমাজবাদী পার্টির সরকার অযোধ্যায় করসেবকদের উপর গুলি চালিয়েছিল। উল্লেখ্য– সে বছরই অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভাঙার জন্য সারা দেশ থেকে করসেবকরা জড়ো হয়েছিল। তখন রাজ্যে মুলায়ম সিং যাদবের সরকার ছিল। সেবার অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে উত্তেজিত করসেবকদের ভয় দেখাতে গুলি চালায় পুলিশ। তার ঠিক ২ বছর পর বিজেপির কল্যাণ সিং মুখ্যমন্ত্রী থাকার সুযোগের সদব্যবহার করে করসেবকরাই সারা দেশ থেকে এসে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। তাদের ইন্ধন দেওয়ার জন্য উত্তেজক ভাষণ দিয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানি– কল্যাণ সিং– মুরলিমনোহর যোশি– উমা ভারতী– বিনয় কাটিয়ার প্রমুখ। এ সব কথা অবশ্য উল্লেখ করেননি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
অর্থাৎ দীপাবলির উৎসবের সূচনা অনুষ্ঠানে যোগী সরাসরি বললেন– তিনি কবরিস্তান পছন্দ করেন না। এক কথায়– তিনি মুসলিমবিরোধী। ধর্মনিরপেক্ষ দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েও তিনি অকুতোভয়।