পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কোরিয়ান ভাষায় পবিত্র কুরআন অনুবাদ করে তাক লাগিয়েছেন ডঃ হামিদ চোই ইয়ং কিল। তিনি প্রথম কোরিয়ান মুসলিম যিনি এমন একটি কাজ সাফল্যের সঙ্গে সম্পাদন করেছেন । ডঃ চোই ইয়ং কিল মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। কোরিয়ান ভাষায় কুরআন ও সহি বুখারির অনুবাদ করতে তাঁর মোট সময়ে লেগেছে সাত বছর । পবিত্র কুরআন অনুবাদ ছাড়াও ইসলামের ওপর মোট ৯০ টি বই লিখেছেন তিনি।
বর্তমানে মায়ংজি ইউনিভার্সিটিতে ইসলামিক এবং আরবি স্টাডিজের অধ্যাপনার সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন তিনি। পালন করছেন কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হামিদ জানিয়েছেন, কেন দীর্ঘ সাতবছর তিনি কোরিয়ান ভাষায় কুরআন অনুবাদের কাজে ব্যয় করলেন। তিনি জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের মধ্যে ইসলাম নিয়ে ক্রমশ আগ্রহ বাড়ছে। তাই কুরআন কে কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদ করলে তাঁদের পক্ষে ইসলামকে জানা এবং চেনা অনেক সহজ হবে। তাই তিনি এই কাজে হাতদেন।
“A graduate of the Islamic University of Madinah, Dr Hamid Choi dedicated seven years of his life to translating the Holy Quran and Sahih Bukhari into the Korean language, thus becoming the first Korean Muslim to do so. He has also written over ninety Islamic books.” Masha’Allah pic.twitter.com/X4aqp4BWby
— • (@Al__Quraan) December 8, 2022
কোরিয়ান মুসলিম ফেডারেশনের একটি সমীক্ষা অনুসারে দক্ষিণ কোরিয়ায় বর্তমানে মুসলমানদের সংখ্যা প্রায় ২,০০০০০ । যা সেই দেশের সামগ্রিক জনসংখ্যার মাত্র ০.৩৮ শতাংশ। ইসলামের সঙ্গে কোরিয়ার প্রথম সাক্ষাৎ ছিল বাণিজ্যিক। খ্রিষ্ট্রীয় নবম শতকে আরব ও পার্সিয়ান মুসলিম ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ কোরিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারাই সে সময় কোরিয়ান উপদ্বীপের শিলা রাজ্যে মুসলিমদের স্থায়ী আবাস গড়ে তোলেন। খ্রিষ্ট্রীয় ১৬ শতক পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপে বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে মুসলিম ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ ও সখ্যতা বাড়ে। বিভিন্ন স্থানে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। এমনকি প্রশাসনিক পদেও সেই সময় থেকে মুসলিমরা দায়িত্ব পালন শুরু করেন। (২২৬)