শুভজিৎ দেবনাথ, ধূপগুড়ি: ভোর রাতে আচমকাই অগ্নিকাণ্ড। আগুনে ভস্মীভূত দুটি দোকান। ভারত ভুটান সীমান্তবর্তী চামূর্চি এলাকায় ঘটনা। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তিনটি দোকান।
জানাগেছে, বৃহস্পতিবার ভোরে লোকজন প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়া লোকেরাই প্রথম দেখতে পান আগুনের লেলিহান শিখা। এরপর সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় চামূর্চি আউট পোস্টের পুলিশকে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ। খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি দমকল কেন্দ্রে।
দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় আগুন নেভাতে ভুটানের সামসি জেলার থেকে দুটি ইঞ্জিন নিয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এমনকি ধূপগুড়ি থেকেও দমকল কর্মীরা আসেন। যদিও ধূপগুড়ির দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
ঘটনায় তিন লক্ষাধিক টাকার ওপরে তিনটি দোকানের সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে বলেই প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হয়েছে ব্যবসায়ীদের তরফে। আগুন লাগার কারণ এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি। কারণ জানতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ধারণা। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দমকল কেন্দ্র অনেক দূরে থাকায় সময়মতো ইঞ্জিন এসে পৌঁছোতে পারে না। বানারহাটে দমকল কেন্দ্র তৈরির দাবি করেন ভুটান সীমান্তের বাসিন্দারা।
এলাকার সমাজসেবী রেজা করিম জানান, ভোরবেলা লোকজন প্রথম এই আগুন দেখতে পায়। তিনটি দোকানে পরপর আগুন লেগে যায়। এরপর ভুটান থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও হাত লাগান আগুন নেভানোর কাজে। ধূপগুড়ি থেকেও দমকল কর্মীরা ছুটে আসেন, কিন্তু তারা আগেই ভুটান থেকে আসা দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।